হু হু করে বইছে উত্তুরে হাওয়া, হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা এই সকল জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিম্নচাপের মেঘ কাটার পর গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বীরভূমের তাপমাত্রা তরতরিয়ে নামতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমের একাধিক জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ১১ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছে। তবে অবস্থায় গতকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে যেভাবে উত্তুরে হাওয়ার দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে তাতে নাজেহাল অবস্থা বীরভূমের বাসিন্দাদের।

রবিবার সকাল থেকেই বীরভূম জুড়ে ঝড়ের গতিতে বইছে শীতল উত্তুরে হাওয়া। দিনভর এই শীতল হওয়ার কারণে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমেছে ২১.৬ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় নেমেছে ৪°। অন্যদিকে শীতের এই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে সোমবারও।

শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে সোমবার যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.১ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ ডিগ্রী কম। মোটের উপর জেলার এই মুহূর্তে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বলাই বাহুল্য। দিন কয়েক পরেই রয়েছে বড়দিন। শুরু হবে বনভোজনের মরশুম। এমত অবস্থায় জেলাজুড়ে এমন জাঁকিয়ে শীত উপভোগ করতে শুরু করেছেন শীত প্রেমীরা।

সামনেই বনভোজনের মরশুম শুরু হওয়ার পাশাপাশি বীরভূমে বেশ কয়েকটি মেলাও রয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বোলপুর শহরে বইমেলা, সিউড়িতে শুরু হয়েছে মিলন মেলা, সামনেই শুরু হতে চলেছে বোলপুরে পৌষ মেলার বিকল্প মেলা, এরপর আবার রয়েছে জয়দেবের মেলা।

অন্যদিকে শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, আগামী দিন কয়েক জেলায় কোনরকম বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মূলত আকাশ পরিষ্কার থাকবে এবং তাপমাত্রার তেমন কোনো হেরফের হবে না। শীতের এই অনুভূতি বজায় থাকবে টানা কয়েকদিন।

অন্যদিকে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এদিন দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪° কম। গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যাও কিনা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রী কম।

এর পাশাপাশি হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বীরভূম ছাড়াও লক্ষ্য করা গিয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলায়। এইসকল প্রতিটি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ সোমবার ৭ থেকে ৯ ডিগ্রির মাঝে ঘোরাফেরা করছে।