অনেক হল দীঘা মন্দারমনি, কম খরচে কলকাতার কাছে রইল এই সমুদ্র সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদন : উৎসবের মরশুম আসা মানেই ঘোরাফেরা, হইহুল্লোড়, আনন্দ। এই মরসুমগুলিতে বহু মানুষকেই দেখা যায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য বেরিয়ে পড়তে। কলকাতা এবং ধারে কাছে সপ্তাহান্তে সময় কাটানোর জায়গা বলতে সবাই দীঘা মন্দারমনি ইত্যাদিকেই বুঝে থাকেন। তবে এসবের বাইরেও কম খরচে রয়েছে একটি সমুদ্র সৈকত।

কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে এই নতুন সমুদ্র সৈকত। যে সকল মানুষেরা নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য এই সমুদ্র সৈকত সবচেয়ে উপযুক্ত। কারণ এখানে দীঘা মন্দারমনির মতো পর্যটকদের আনাগোনা নেয়। খুব নিরিবিলি এই জায়গা, আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়েও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।

নতুন এই নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতের নাম বগুরান জলপাই। বাসে কন্টাই পর্যন্ত যেতে হবে এবং সেখান থেকে টোটো করে চলে যাওয়া যায় এই সমুদ্র সৈকতে। টোটো ধরে এখানে যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ট্রেনে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাঁথিতে নামতে হবে এবং সেখান থেকে এই সমুদ্র সৈকত সহজেই আসা যায়। তবে এখানে দীঘা অথবা মন্দারমনির মতো সমুদ্রের ঢেউ মাতাল নয়। এখানকার সমুদ্র অনেক শান্ত।

এখানকার এই চওড়া বিচে লাল কাঁকড়া ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। জোয়ার ভাটার সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে সমুদ্র কখনো কাছে আবার কখনো দূরে সরে যায়। এখানে বাঁশের মাচায় বসে সময় কাটানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও এখান থেকে খুব কাছেই থাকা জুনপুট আর বাঁকিপুটে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দির ও দরিয়াপুর লাইট হাউস ঘুরে দেখা যেতে পারে।

এখানে থাকার জন্য কেবলমাত্র সাগর নিরালা নামে একটি রিসোর্ট রয়েছে। সেখানে ঘর অথবা কটেজ যেমন ধরনের রুম চান পেয়ে যাবেন। খরচ তুলনামূলক অনেক কম। এখানকার খরচ মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যেই। তবে এখানে সাইটসিন তেমন নেই। যে কারণে একদিন যারা সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য খুব ভালো।