বিধানসভা নির্বাচনের সেমি ফাইনালে হাসলেন মমতা, উচ্ছ্বসিত কর্মীরা

হিমাদ্রি মন্ডল ও অমরনাথ দত্ত : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির ব্যাপক উত্থান, ১৮টি পদ্ম ফুল ফুটাতে সক্ষম হয়েছিল তারা। তার পরেই বিজেপির নজর পড়ে বাংলা দখলে। এদিকে তৃণমূল বিজেপিকে আটকাতে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেন প্রশান্ত কিশোরকে। ফল, বিজেপি ৯ মাসের মধ্যেই বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়লো। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে সেমিফাইনালের মত উপনির্বাচন হয় রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে। যে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল দেখে শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উচ্ছ্বসিত তাঁর দলের কর্মীরা।

সোমবার কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর ও করিমপুরের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। যে উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয় বৃহস্পতিবার। ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথেই তিনটি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীরা তাদের জয় নিশ্চিত করে, অন্যদিকে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই মুখ থুবরে পড়ে বিজেপি। তিনটি কেন্দ্রের জয় নিশ্চিত করার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির ঔদ্ধত্যের রাজনীতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান।

তিনি বলেন, “বিজেপির আমলে দেশজুড়ে বেকারত্ব, অর্থনীতির বেহাল অবস্থা, ভিন রাজ্যে বাংলার মানুষদের খুন হওয়ার ঘটনা সবকিছুই কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মমতা আরও বলেন, বাংলার মানুষ ভালোবাসতে জানে, তাঁরা হিংসাকে প্রশয় দেয় না।”

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল কর্মীরা বিজয় উৎসব শুরু করে। বীরভূম জেলার প্রতিটি ব্লক ও শহরে তৃণমূল কংগ্রেস মিষ্টি বিলি ও আবির নিয়ে উপনির্বাচনের জয় তাদের আনন্দ প্রকাশ করলো। বোলপুর চৌরাস্তায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী সাধারণ মানুষদের মিষ্টি খাওয়ালেন ও আবির মাখালেন। তার সাথেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা দলীয় পতাকা নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন। অন্যদিকে সিউড়ির পার্টি অফিসেও দেখা গেল একই ছবি।