ধান কাটা, বুনা, আর সেই ধান বিক্রি করে কিনতেন চপ, মুখ্যমন্ত্রীর অজানা গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহুমুখী প্রতিভা সম্পর্কে রাজ্য তথা দেশের অধিকাংশ মানুষ জানেন। রাজ্যপাট চালানোর পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকায় পারদর্শী, গান লিখতে এবং গাইতেও পারদর্শী। এছাড়াও রয়েছে তার কবিতা লেখার দক্ষতা। পাশাপাশি বহু ভাষায় কথা বলার দক্ষতা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

প্রশাসনিক সমস্ত রকম কাজকর্ম চালানোর পাশাপাশি এই এত দিকে পারদর্শী হওয়া নেহাত কম নয়। তবে এসবের পাশাপাশিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে ছোটবেলায় দিন কাটিয়েছেন সেই অজানা কাহিনীও এবার জানালেন। আর এই কাহিনী শুনলে আপনি তা ভাবতেও পারবেন না। আপনাকে নিশ্চিত ভাবে অবাক করবে।

মুখ্যমন্ত্রীও একসময় ধান বুনতেন। ধান কাটতেন। এই গল্প আমরা বলছি না। সদ্যসমাপ্ত হওয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ তার ছোটবেলার এই অজানা কাহিনী সবার সামনে তুলে ধরেছেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ছোটবেলার এই গল্প তুলে ধরেন মূলত জনসংযোগ বৃদ্ধি করার জন্য বিধায়কদের পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে।

এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের জানান, ‘তোমরা কি জানো আমি ধান পুঁততে পারি আবার কাটতেও পারি।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগ বৃদ্ধি করার জন্য সকলকে বলেন, গ্রামে গ্রামে গিয়ে চাষীদের কাজের হাত লাগাতে। চাষ করার সময় তাদের সঙ্গে ট্রাক্টরের হাত লাগাতে পরামর্শ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শীতকালে মামার বাড়ি যেতাম। ছোট্ট ছোট্ট ঘটনা। কিন্তু শুনতে ভাল লাগবে। চাষিরা ধান কাটতেন। সেই ধান কিছুটা ফেলে রেখে যেতেন। সব ধান পুরো কাটতেন না। যে ধান পড়ে থাকত সেগুলো আমরা কুড়োতাম। সেটা কুড়িয়ে আমরা ধানগুলো জমাতাম। এরপর কেউ আলুর চপ বিক্রি করতে আসত, কেউ চুড়ি, ফিতে বিক্রি করতে আসত। ওই ধানটা দিয়ে আমরা ওইগুলো কিনতাম। বুঝলেন কিছু? গ্রামে আগে ধান দিয়ে জিনিস পাওয়া যেত দোকানে।”