সংক্রমণ না কমলে এই পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য, ইঙ্গিত খোদ মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল বছরের শেষ থেকেই। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে বছরের শুরু থেকেই তীব্র গতিতে বাড়তে শুরু করে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। গতকাল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফ থেকে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, একদিনেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের কাছাকাছি।

ইতিমধ্যেই এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি রুখে দেওয়ার জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধি-নিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার। তবে তার পরেও রাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ হতে থাকায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তেমনটাই স্পষ্ট করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য একগুচ্ছ পরামর্শ দেন। এই বিষয়ে তিনি জানান, ফেস মাস্ক কম্পালসারি। পাশাপাশি থাকতে হবে হাতে হ্যান্ড গ্লাভস অথবা স্যানিটাইজার। মেয়েদের চুল ঢাকার জন্য হেডস্কার্ফ বাধ্যতামূলক।

এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, প্রশাসন জোর করে কাউকে মাস্ক পরাতে পারবে না। দয়া করে সবাই মাস্ক পরুন। অন্যদিকে পুলিশকে নির্দেশ দেন কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। পাশাপাশি তিনি জানান, বাড়ির কোন সদস্য আক্রান্ত হলে অন্যান্য সদস্যরা যেন অযথা বাড়ি থেকে বের না হন।

অন্যদিকে দিন কয়েক ধরে রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হলেও এখনো পর্যন্ত সংক্রমণে নিয়ে কোনোরকম লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। উল্টে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে সংখ্যাটা। তবে এই পরিস্থিতিতে ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ার মত প্রশ্ন উঠলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ট্রেন বন্ধ করলে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বেন। আবার চালু থাকলে লোকে গাদাগাদি করে যাতায়াত করবেন। তাই সকলে মাস্ক পরে যাতায়াত করুন। তবে এসবের পরেও যদি সংক্রমণ কম না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পরেই ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছেন, ১৫ জানুয়ারির পর থেকে আরও কড়া হতে পারে রাজ্যের বিধি নিষেধ।