নারদ কাণ্ডে তৃণমূলের তৎকালীন ৪ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেলেঙ্কারি মামলায় তৎপর হতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে। তবে এবার ভোট মিটলেও এই তৎপরতার খামতি নেই। রবিবার নারদ কাণ্ডে তৃণমূলের তৎকালীন ৪ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর।

রবিবার রাজভবনের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের তৎকালীন চার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। নারদ কান্ডে এই চারজন তৎকালীন মন্ত্রী ছাড়াও আরও একাধিক তৎকালীন তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীর নাম লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে আপাতত তাদের নামে আইনি পদক্ষেপ অর্থাৎ চার্জশিট গঠন করার অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে আপাতত এই তালিকায় নেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদ স্টিং অপারেশন তোলপাড় মাতিয়ে দিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিকে। যে স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আনার পর তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সরাসরি টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনার তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের কাছে সিবিআই এই ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ৭ নম্বর ধারায় চার্জশিট পেশের জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চায়।

রাজভবনের তরফ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৬৩ ও ১৬৪ অনুচ্ছেদ মেনে সিবিআইয়ের আবেদনে সায় দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তবে এই তালিকায় কেন শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই তার প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের তরফ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী সেই সময় সাংসদ ছিলেন এবং পরে বিধায়ক ও মন্ত্রী হন। যে কারণে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠনের জন্য লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে অনুমতি নিতে হবে।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1391365439553302529?s=19

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, নারদ কান্ডে যে সকল তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ছবি দেখা গিয়েছিল তাদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন। মুকুল রায় অনেক আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও একুশের বিধানসভায় তাকে বিজেপি টিকিট না দেওয়ায় তিনি বিজেপির সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন।