সংক্রমণ ঠেকাতে ফের এই দিন থেকে জারি হতে পারে কড়া বিধিনিষেধ

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে দেশে। দেশের পাশাপাশি এই নতুন স্ট্রেন গ্রাস করছে রাজ্যকেও। এমন পরিস্থিতিতে এই করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনকে রুখে দিতে ফের কড়া বিধি-নিষেধ জারি হতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, করোনার এই নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন ঠেকাতে পুরোপুরি লকডাউনের পথে না হাঁটলেও খুব তাড়াতাড়ি আগামী সপ্তাহেই জারি হতে পারে নতুন করে কড়া বিধি-নিষেধ। মনে করা হচ্ছে ৩ জানুয়ারি থেকেই এই বিধিনিষেধ লাগু হতে পারে। ইতিমধ্যেই মারাত্মক আকারের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক সরকারি কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা হয়েছে অথবা বাতিল হওয়ার পথে।

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ২ জানুয়ারি থেকে যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা ছিল তা আপাতত হচ্ছে না। এছাড়াও আগামী ৩ জানুয়ারি ইনডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট সপ্তাহ পালনের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল তাও বাতিলের পথে। অন্যদিকে পুনরায় স্কুল-কলেজ বন্ধ হবে নাকি বিধিনিষেধ বাড়বে তা নিয়ে শুরু হয়েছে পর্যালোচনা।

সংক্রমণ বৃদ্ধিকালে আপাতত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করার পথে না হাঁটলেও ট্রেন যাত্রী এবং বিমান যাত্রীদের কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে কড়া বিধিনিষেধ। এছাড়াও আগের মত সরকারি অফিসগুলিতে ৫০% কর্মীদের নিয়ে কাজ চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতে পারে। পাশাপাশি কাজের সময় কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতে পারে।

এছাড়াও বিধিনিষেধ হিসাবে ভিড় এলাকায় ৫০ শতাংশ মানুষের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। সিনেমা হলে বর্তমানে যে ৭০% প্রবেশের অনুমতি রয়েছে তা কমিয়ে ৫০% করা হতে পারে। রেস্তোরাঁ এবং হোটেলগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর করা হতে পারে। পাশাপাশি মাস্ক না পরলে কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন নিয়ম লঙ্ঘনকারীরা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর করোনা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, এক ধাক্কায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৫১। শনিবার এই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫১২।