Bitter melon: উচ্ছে আর করলার পার্থক্য কী! ৯৯ শতাংশ মানুষের উত্তরই ডাহা ফেল

What is the difference between Bitter melon and Bitter Gourd: কথায় আছে মরশুম এর ফল ও সবজি খাওয়া শরীর স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। মরশুম পরিবর্তনের সময় স্বাদ বদলাতে কার না ভালো লাগে। এ সময় অরুচি কাটানোর জন্য তেতো খাবার খুবই সাহায্য করে, এমনকি শরীরও ভালো রাখে। আপামর বাঙালির হেঁসেলে উচ্ছের ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে যায়৷ বছরভর পাওয়া গেলেও সিজন চেঞ্জ বা মরশুমি পরিবর্তনে উচ্ছে (Bitter melon) খাওয়া অনেক বেশি উপকারী৷

উচ্ছের (Bitter melon) মধ্যে কত যে গুণ আছে তা গুনে শেষ করা যাবেনা। এর মধ্যে ভাইরাল বৈশিষ্ট্য থাকার জন্য সর্দিকাশি, মরশুমি জ্বরজারি, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি রোগ থেকে প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করতে সাহায্য করে উচ্ছে৷ মরশুম পরিবর্তনের সময় যদি ডায়েট করা যায় তা সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি৷ কিন্তু উচ্ছে ও করলার মধ্যেকার আসল পার্থক্য কী?

দুটো জিনিসই দেখতে এক, এমনকি খেতেও তেতো, তাহলে নাম কেন আলাদা? ভাজা হোক, সিদ্ধ কিংবা তরকারি- এর খাদ্যগুণ কিন্তু অনবদ্য৷ কিন্তু উভয়ের মধ্যে কী আদৌ কোনো পার্থক্য আছে? এই প্রতিবেদনের দ্বারা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

অনেকেই হয়তো জানেন কোনটাকে কি বলা হয়। তবু জেনে নেওয়া ভালো যে, সাধারণত ছোটগুলোকে উচ্ছে (Bitter melon) এবং বড়গুলোকে করলা বলে। অর্থাৎ একেবারে ছোট থেকে ৫-৭ সেন্টিমিটার লম্বাগুলোকে উচ্ছে এবং তার চেয়ে বড়গুলোকে করলা (Bitter Gourd) বলা হয়। কিন্তু উভয়ের ক্রোমজম সংখ্যা কিন্তু সমান তা হলো (2n = 22)। আবার করলার চেয়ে আকারে অনেক ছোট হল উচ্ছে, যার খাদ্যমান অনেক বেশি। করলা বা উচ্ছে খাওয়া সত্যি অনেক উপকারী।

উচ্ছের (Bitter melon) মধ্যে কি কি জিনিস আছে যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করে? এতে আছে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিনয়েডস যা অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে৷ বিভিন্ন উৎসেচকের সক্রিয়তা বাড়িয়ে লিভারকে সুস্থ রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। তবে মাথায় রাখতে হবে অন্যান্য খাবারের মতো উচ্ছে বা করলাও বেশি খাওয়া উচিত নয়৷ দিনে ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত উচ্ছে খাওয়া যেতে পারে৷ এর থেকে। বেশি না খাওয়াই ভাল৷