আফ্রিকা থেকে ৮ চিতাকে কত খরচ করল সরকার, জানলে অবাক হবেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা হয় আটটি চিতা। বিদেশ থেকে আসা এই চিতাগুলি বর্তমানে ঘর পেয়েছে মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে। বিদেশ থেকে এই চিতাগুলি আসার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ দশক পর দেশে ফিরল চিতা।

ভারতের চিতা ফিরিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা অনেক দিনের। প্রথম এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ২০১০ সাল নাগাদ। শেষমেশ ২০২২ সালে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য সরকারের তরফ থেকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশের মোট ১০টি এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হয়। যদিও শেষমেষ সমস্ত দিক বিবেচনা করে মধ্যপ্রদেশের এই জাতীয় উদ্যানকে বেছে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে বিদেশ থেকে এই আটটি চিতা আনার জন্য কত খরচ হয়েছে সরকারের। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভালো, শুধু আটটি চিতা নয় আগামী কয়েক বছরে এই চিতার সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। ২০২৫ সালের মধ্যে এর সংখ্যা হবে ৫০। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দেয়।

সুপ্রিম কোর্টের সেই অনুমতি পাওয়ার পর ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভারত সরকারের সঙ্গে নামিবিয়া রিপাবলিকের মৌ স্বাক্ষর হয়। এই সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর নামিবিয়া থেকে বোরিং৭৪৭ বিমানে প্রথম আটটি চিতা ভারতের মাটিতে উড়িয়ে আনা হয়। এই চিতাগুলি ভারতের মাটিতে প্রথম উন্মুক্ত করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সম্পূর্ণ এই পরিকল্পনার জন্য ভারত সরকারের তরফ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৯৬ কোটি টাকা। এই তথ্য দেওয়া হয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। এই পরিকল্পনাকে ভালোভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল অফ কর্পোরেশনের তরফ থেকে বাড়তি ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।