ATM থেকে নকল নোট পেয়েছেন! যা করা উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদন : অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে যত এগোচ্ছি আমরা, ততই উন্নতি হচ্ছে জীবনযাপন। পাশাপাশি তালে তালে মিলিয়ে বাড়ছে টাকা পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রেও আধুনিকতা। বাড়ছে মোবাইল ব্যাঙ্কিং ও এটিএম সেবা। আর এই সব পরিষেবার মধ্যে নানান নিরাপত্তা বলয় থাকলেও থেকে যায় ফাঁকফোকর, এটিএম পরিষেবায় বের হচ্ছে নকল নোট, বলে অভিযোগ। হাতে নোট নিয়ে অনেকেরই নকল বলে মনে হয়। পরে ভাল করে পরীক্ষা করে তা সত্যি বলেও প্রমাণিত হয়। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ঠিক কি করণীয়?

ATM থেকে নকল নোট পেলে কি করা উচিত?

প্রথমেই আপনি যখন এটিএম কাউন্টার থেকে নোট সংগ্রহ করছেন, তখন সেইসব নোট আপনার পকেটে ঢোকানোর আগে ভালো করে যাচাই করে দেখে নিন সেগুলি আসল না নকল। একবার যদি আপনি কাউন্টার থেকে বেরিয়ে পড়েন, তাহলে আপনার পক্ষে প্রমান করা খুবই অসম্ভব যে আপনার কাছে থাকা নকল নোট আপনি এটিএম কাউন্টার থেকেই পেয়েছেন। তাই সময় নিয়ে ভালো করে যাচাই করে দেখুন প্রথমেই আর তা করতে হবে ওই এটিএম কাউন্টারেই। যদি আপনি নকল নোট পান তাহলে তা এটিএম কাউন্টারে  লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে দেখান। এর ফলে আপনার প্রমান করতে সুবিধা হবে যে আপনি ওই এটিএম কাউন্টার থেকেই নকল নোটটি পেয়েছেন।

আমরা টাকা তোলার সময় অনেকেই এটিএম থেকে t
Transaction Slip নিয়ে থাকি না। এটা কিন্তু মস্তবড় ভুল। এই স্লিপই প্ৰমাণ করবে আপনার বলা কথার আসল সত্যতা। এরপর আপনি আপনার কাছে থাকা কলম ও কাগজ দিয়ে লিখে নিন ওই নকল নোটের সিরিজ নাম্বারগুলি। এরপর আপনি আপনার অভিযোগ লিখে জানান এটিএম কাউন্টারে রাখা অভিযোগ বই যা সাধারণত এটিএম কাউন্টারের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে থাকে। আর তা না থাকলে আপনি নিকটস্থ পুলিশ থানা বা ফাঁড়িতে গিয়ে আপনার অভিযোগ জানান। কখনোই আপনি কিন্তু এটিএম কাউন্টার থেকে পাওয়া নকল নোট বাজারে চালানোর চেষ্টা করবেন না। কারন নকল নোট বাজারে চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য আপনি যদি ধরা পড়েন, তাহলে আপনার হাজতবাসও হতে পারে।

এরপর আপনি যে ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার থেকে ওই নকল নোট পেয়েছেন তার যে কোন শাখায় আপনার কাছে থাকা নকল নোট ও থানায় করা অভিযোগপত্র নিয়ে যোগাযোগ করুন। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের জানান পুরো ঘটনাটি। আপনি তাদের কাছে জমা দিন থানায় আপনার করা অভিযোগপত্রের এক কপি জেরক্স এবং এও জানান যে এটিএম কাউন্টারে থাকা অভিযোগ বইতে আপনি আপনার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছেন।

যেসব ক্ষেত্রে এটিএম কাউন্টারে কোন নিরাপত্তারক্ষী বা অভিযোগ বই থাকবে না, সেইসব ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই এটিএম কাউন্টারে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখান আপনার নকল নোটের সংখ্যা ও তাদের নাম্বার, যাতে ভালোভাবে বোঝা যায় ওই নোটের নাম্বার তার ব্যবস্থা করবেন।

তারপর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে, সেই লিখিত অভিযোগের রিসিপ্ট কপি নিয়ে যে ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার তার যেকোনো শাখা ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছে গিয়ে আপনার অভিযোগের প্ৰমাণ স্বরূপ পেশ করুন। ব্যাঙ্ক এরপর যে বেসরকারি বা সরকারি সংস্থা ওই এটিএম কাউন্টারে টাকা ভরার দায়িত্বে ছিল তাদের জানাবে এইরূপ ঘটনার কথা।তবে ব্যাঙ্ক কিন্তু আপনার নকল নোট নিয়ে আপনাকে আসল নোট দিয়ে দেবে, এই ভুল ধারনা রাখবেন না। তারা আপনার নকল নোট অবশ্যই আপনার কাছে থেকে সংগ্রহ করে রাখবে এবং আপনার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

যদি আপনার অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে ডেকে পাঠানো হবে। তবে এই প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ হওয়ায় আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য রাখতে হবে।এবং সময় সময় ওই ব্যাঙ্কে গিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি কিরূপ হয়েছে তা জানতে হবে।