ঠিক কি কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল করমণ্ডল? সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : এ যেন শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর এক রেল দুর্ঘটনা (Train Accident)। একই জায়গায় একসঙ্গে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়বে তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে গেল ওড়িশার বালেশ্বরে। যে দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৬১ জন। এই দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শালিমার থেকে চেন্নাই রওনা দেওয়া করমন্ডল এক্সপ্রেস (coromandel train accident)। তবে শুধু করমন্ডল এক্সপ্রেস নয়, এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেসও। এই ট্রেনেরও বেশ কয়েকজন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুর্ঘটনার পর বারবার প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে ঘটলো এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা?

দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদারকি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের তরফ থেকে এই দুর্ঘটনা নিয়ে নানান প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

তবে শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাই প্রশ্ন তুলছেন এমন নয়, শত শত মানুষের প্রাণহানি এবং আহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমন রেল দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দেশের অধিকাংশ মানুষই। এই সকল প্রশ্ন খুঁজতে ইতিমধ্যে রেলের তরফ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের সেই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ খুঁজছে, তবে এরই মধ্যে দুর্ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য সামনে এলো।

সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, সিগন্যালের সমস্যার জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট মেন লাইনে যাওয়ার জন্য করমন্ডল এক্সপ্রেসকে গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। এরপর আবার সেই গ্রীন সিগন্যাল তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেনটি লুপ লাইনে ঢুকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাল গাড়িতে ধাক্কা মারে।

ঠিক সেই সময় ডাউন লাইনে আসছিল যশবন্তপুর হাওড়া যশবন্তপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই সময় এই ট্রেনটির আবার দুটি বগি লাইন যুক্ত হয়ে যায়। তবে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রেলের তরফ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। রেলের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিগন্যালিং সমস্যা ছিল নাকি অন্য কোন সমস্যা। এর জন্য ট্রেনের লোকো পাইলটের সঙ্গে কথা বলা হবে। করোমণ্ডল এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট জি এন মোহান্তি এবং সহকারী লোকো পাইলট গুরুতর যখন অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।