ফুল বদল তো করলেন, এবার কি সাংসদ পদ ছাড়বেন অর্জুন সিং

নিজস্ব প্রতিবেদন : কংগ্রেস কাউন্সিলর হিসেবে জনপ্রতিনিধিত্ব শুরু করেছিলেন অর্জুন সিং। এরপর তৃণমূলে এসে বিধায়ক এবং বিজেপিতে এসে সাংসদ। এই নেতার রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার ফুল বদল হয়েছে। তৃণমূলে থাকাকালীন পরপর চারবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে বিধায়ক হয়েছিলেন এবং বিজেপিতে থেকে একবার সাংসদ হন।

১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে অর্জুন সিং বিজেপিতে যান। সেখানে জয়লাভ করে সাংসদ হওয়ার পর রবিবার তিনি ফের তৃণমূলের ফিরে এলেন। ব্যারাকপুরের এই দাপুটে নেতা তথা সাংসদের ৩৮ মাস পর ঘরওয়াপসি হলো। এই ফুল বদলের পর এবার প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন অর্জুন সিং?

বাবুল সুপ্রিয় সম্প্রতি বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাংসদ হন এবং তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি অবশ্য সাংসদ পদ ছেড়ে দেন। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি অর্জুন সিংও বাবুল সুপ্রিয়র পথেই হাঁটবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন সিং সপাটে জানান, “তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জিতেছিলেন এমন দুজন সাংসদ রয়েছেন যারা বর্তমানে বিজেপি করছেন। তারা রিজাইন করুক। আমার একঘণ্টা লাগবে না। রিজাইন করে ইলেকশনে যাওয়ার জন্য আমি তৈরি আছি। আমি বর্তমানে যে দলে আছি, সেই দল যে সিদ্ধান্ত দেবে তা মেনে চলতে আমার এক সেকেন্ডও লাগবে না।”

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার পর অর্জুন সিং বিজেপি ত্যাগ করার কারণ হিসাবে জানান, “ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়েছিলাম। তৃণমূলের কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি দলের সঙ্গে রয়েছি। দল গড়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি ছিলাম। মাটিতে নেমে রাজনীতি করা মানুষ।”

এর পাশাপাশি তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “বাংলায় বিজেপি এসি ঘরে বসে ফেসবুকে সংগঠন করে রাজনীতি করে। এভাবে বাংলায় রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আমি দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় রাজনীতি করছি। সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করে একা বিধায়ক হয়েছিলাম। আমি সংগঠন করা লোক। আমার এভাবে রাজনীতি পোষায় না। তাঁদের সঙ্গে বাংলার মানুষের কোনও যোগ নেই। বাংলার মানুষকে বুঝতে গেলে মাঠে নামতে হয়।”