এত অভয়ারণ্য থাকতে কেন মধ্যপ্রদেশেই জায়গা পেল চিতা! রয়েছে ৩টি কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয় শনিবার। এই আটটি চিতার এখন বর্তমান বাসস্থান হল মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যান। ভারতে আরও অনেক অভয়ারণ্য থাকলেও কেন এই অভয়ারণ্যকেই বেছে নেওয়া হলো?

ভারতের চিতা আনার পরিকল্পনা অনেক বছরের। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশের মোট ১০টি এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের এই জাতীয় উদ্যানকেই বেছে নেওয়া হয়। মধ্যপ্রদেশের এই জাতীয় উদ্যানকে বেছে নেওয়ার জন্য তিনটি কারণ রয়েছে।

১) কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যান ৭৪৮ বর্গ কিলোমিটারের। ৭ দশক আগে ভারতে শেষবার যেখানে চিতা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল সেই জায়গাটি হল ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার শাল বন। সেখান থেকে এই জাতীয় উদ্যানের দূরত্ব খুব বেশি নয়।

২) বিশ্বের দ্রুততম এই প্রাণী চিতার বসবাসের জন্য প্রয়োজন হয় বিশাল জায়গার। তাছাড়া তাদের থাকার জন্য চাই নিরিবিলি জায়গা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তারা থাকতে পারে না। বন্য পশুদের এই জায়গা বসবাস যোগ্য করে তোলার জন্য ২৪টি গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

৩) কুনো অভয়ারণ্যে রয়েছে প্রচুর চিতাবাঘ। প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে এখানে চিতা বাঘের সংখ্যা হল ৯। চিতাবাঘ আফ্রিকা থেকে আনা চিতার তুলনায় শক্তিশালী। ফলে তাদের সংঘাতের সম্ভাবনা থাকলেও সহাবস্থান বিরল নয়। এর পাশাপাশি এই অভয়ারণ্যে এখন ২১ চিতার থাকার মতো জায়গা রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৬ করা যেতে পারে।