হার মানবে তাজমহল থেকে ভ্যাটিকান, কি কি রয়েছে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছরেই মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের উদ্বোধনের কথা ছিল। তবে তা হয়ে ওঠেনি দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ইসকন মন্দির তৈরীর সম্পূর্ণ কাজ এবং উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালে। মন্দিরটি একটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তা হবে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় পিঠস্থান। এটি তাজমহলের থেকে বড় এবং রোমের ভ্যাটিকানের সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের চেয়েও প্রকাণ্ড।

দ্বাদশ শতাব্দীতে কম্বোডিয়ায় যে আঙ্করভাট মন্দির তৈরি হয়েছিল তার ধাঁচেই তৈরি হচ্ছে মায়াপুরের ইসকন মন্দির। মায়াপুরে যে মূল ইসকন মন্দির রয়েছে সেখান থেকে সামান্য দূরে গঙ্গা পাড়ে ৪০০ একর জমিতে এই মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমি আইনের উর্ধ্বসীমা শিথিল করে এই জমি ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস তথা ইসকনকে দিয়েছিল।

মন্দিরটি ৪০০ একর জায়গার মধ্যে তৈরি হলেও এখানে রয়েছে মোট ৭০০ একর জমি। বাকি জায়গায় প্রদর্শিত হবে বৈদিক সংস্কৃতি। মন্দির তৈরীর কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। এই মন্দিরের আয়তন এতটাই বড় যে এখানে একসঙ্গে ১০ হাজার পুণ্যার্থী মন্দিরের প্রার্থনা গৃহে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করতে পারবেন।

নবদ্বীপ মায়াপুরে এই বিশাল মন্দির তৈরি করার উদ্যোগ যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আলফ্রেড ফোর্ড। আলফ্রেড ফোর্ড হলেন বিখ্যাত ব্যবসায়ী হেনরি ফোর্ডের প্রপৌত্র এবং ফোর্ড মোটর কোম্পানির ভবিষ্যতের মালিক। ইসকনে যোগ দেওয়ার পর তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন অম্বরীশ দাস। বিশাল এই মন্দির তৈরি করার জন্য তিনি ৩০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন।

এই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। এখনো পর্যন্ত এই মন্দির তৈরি করার জন্য আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখানকার গোটা এলাকা জুড়ে থাকবে বৈদিক দর্শন, বিজ্ঞান, শিল্পের প্রদর্শনী। মূল মন্দিরের মধ্যে থাকবে একটি ঘূর্ণায়মান গ্লোব। যেখানে হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য তুলে ধরা হবে। মন্দিরের একেবারে উপরের তলায় থাকবে কৃষ্ণ মন্দির। উঠানামার জন্য মন্দিরে ব্যবহৃত হবে এসকেলেটারের।