নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে তাদের ন্যূনতম চাহিদা দুবেলা দুমুঠো খাবার পেয়ে থাকেন তার দায়িত্ব সরকারের। সরকার এই দায়িত্ব পালনের জন্য বদ্ধপরিকর এবং সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই চালু করা হয়েছে রেশন (Ration) ব্যবস্থা। যদিও এই রেশন ব্যবস্থাই বারে বারেই ওঠে দুর্নীতির নানান অভিযোগ। তবে সব কিছুকে দূরে সরিয়ে সরকার চেষ্টা চালায় উপভোক্তাদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার।
রেশন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে একেবারেই যারা দুঃস্থ দরিদ্র তাদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে থাকে সরকার। যারা তাদের থেকে স্থিতিশীল তাদের কম মূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। অর্থাৎ রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রির দাম নির্ধারণ করা হয়। যদিও লকডাউন সময় কাল থেকে প্রত্যেক ক্যাটাগরির মানুষদেরই কিছু না কিছু পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া হয়ে থাকে।
রেশন ব্যবস্থা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবস্থা যেটি হলো মানুষের অন্ন সংস্থানের একটি মাধ্যম। যে কারণে এই ব্যবস্থাই সবসময় স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। তবে তা প্রয়োজন হলেও সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার রাজ্যের প্রায় ১.৬৬ কোটি উপভোক্তার কপাল পুড়লো। কেননা তাদের রেশন কার্ড ব্লক করে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। তারা আর বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী পাবেন না বলেও খবর।
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে এই সকল বিপুলসংখ্যক উপভোক্তাদের রেশন কার্ডের সঙ্গে ই-কেওয়াইসি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। তবে এখনই তাদের রেশন কার্ড বাতিল না করে এগুলিকে ব্লক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ব্লক করে দেওয়ার পাশাপাশি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই সকল রেশন কার্ডকে লাল মার্ক করে দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এই সকল রেশন কার্ড থেকে আগে রেশন সামগ্রী তোলা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ই-কেওয়াইসি সংক্রান্ত সমস্যা থাকার কারণে ব্লক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেগুলি আবার আনব্লক হতে পারে, যদি উপভোক্তারা তাদের যথোপযুক্ত পরিচয়পত্র সহ প্রমাণ দেখান এবং ই-কেওয়াইসি শর্ত পূরণ করেন তাহলে।