Indian Gold Reserve: সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের একটি পদক্ষেপ পাল্টে দিতে পারে ভারতীয় অর্থনীতির চিত্র। ব্রিটেন থেকে প্রায় ১০০ টন সোনা ফিরিয়ে এনেছে ভারত। ব্রিটেন থেকে এত বিশাল পরিমাণ সোনা ১৯৯১ সালের আগে স্থানান্তরিত হয়নি ভারতে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সহায়ক হতে পারে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরাও এই বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে ১৯৯১ সালে তহবিল সংগ্রহের জন্য বেশ কিছু সোনা বন্ধক রাখতে হয়েছিল আরবিআই-কে। যা ছিল ভারতের দুর্বল অর্থনীতির পরিচয়। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই বিদেশ থেকে নিজেদের দেশের সোনা (Indian Gold Reserve) দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এক উন্নত অর্থনীতির পরিচয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে, সোনার ভাঁড়ার পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতের কৌশলগত পরিবর্তনও লক্ষ্য করা গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক দপ্তরের পরিকল্পনা এবং যৌথ প্রয়াসের দ্বারা এই বিপুল পরিমাণ সোনা ব্রিটেন থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রায় ১০০ টন সোনা (Indian Gold Reserve) ভারতে আসাতে কতটা পরিবর্তন ফেলবে ভারতীয় অর্থনীতিতে?
আরো পড়ুন: Sovereign Gold নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিল PNB, দেখে নিন একনজরে
ব্রিটেন থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে তাদের সোনা (Indian Gold Reserve) স্থানান্তরের জন্য বিশেষ শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের দিতে হয়েছে জিএসটি। একটি বিশেষ বিমানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে সোনা দেশের মাটিতে আসে। আরবিআই-এর বেশিরভাগ সোনাই বিদেশের মাটিতে রাখা আছে। একাধিক বিদেশি ব্যাঙ্কগুলিকে স্টোরেজের খরচ দিতে হয়। ব্রিটেন থেকে এই সোনার কিছু অংশ ফিরিয়ে আনার ফলে, স্টোরেজ খরচ বাঁচবে এমনটাই আশা করা যায়। জাতীয় সম্পদের বৃদ্ধি ঘটাতে ভারতের এই পদক্ষেপ একটি অভিনব কৌশল এর উদাহরণ।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, আরবিআই-এর হাতে এখন মোট ৮২২.১ টন সোনা রয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্যি টালমাটাল। বিশ্বের একাধিক দেশ বর্তমানে নিজেদের সোনার ভাঁড়ার বাড়ানোর দিকে ঝুঁকছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই পথ অনুসরণ করছে। ২০২৩-এ তার আগের বছরের তুলনায় ২৭.৫ টন বেশি সোনা কিনেছিল আরবিআই। সোনার ভাঁড়ার বৃদ্ধি হওয়ার ফলে কোনও একক বৈদেশিক মুদ্রার উপর ভারতের নির্ভরতাও আগের থেকে অনেকটাই কমে গেছে। মুদ্রার ওঠানামা এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। ভারতীয় অর্থনীতিবিদরা ব্রিটেন থেকে এই সোনা ফিরিয়ে আনার ঘটনাকে ভারতের অর্থনীতির শক্তিশালী দিক হিসাবেই ধরে নিচ্ছে।