নিজস্ব প্রতিবেদন : ১০ টাকা হোক অথবা ২০ টাকা বা ৫০ টাকার নোট, খুচরো বাজারে এই সকল নোটের ভূমিকা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা যায় না। কেননা হাটে বাজারে থেকে শুরু করে গণপরিবহনের বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই সকল নোটের (Indian Currency) ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু আচমকা বাজার থেকে এই সকল নোট কোথায় যেন চলে গিয়েছে!
এখন মানুষের হাতে হাতে ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০ টাকার নোট ঘুরে বেড়ালেও ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকার নোটের দেখা মিলছে না। যেটুকু রয়েছে তাও আবার না চলার মতই। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাজার থেকে শুরু করে বাসে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে টাকা মেটানো অথবা ভাড়া দেওয়ার সময় নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল এই সকল নোট কি বন্ধ করে দেওয়া হবে?
বাজারে কেন ছোট নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না? তাহলে কি এই ধরনের নোট ছাপানো বন্ধ করে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? এই সকল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ মানিক রাম ঠাকুর। কর্ণাটকের কংগ্রেসের এই সাংসদ চিঠি লিখে সাধারণ মানুষদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন এবং এর সুরাহা চেয়েছেন।
সাংসদ মানিক রাম ঠাকুর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামকে যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ছোট নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে না থাকার কারণে গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চল সব জায়গাতেই সাধারণ মানুষদের নানান অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হকার, দিনমজুরদের। এর পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে, এখনো অধিকাংশ মানুষের কাছেই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা নেই। অধিকাংশ মানুষকে নগদের উপর নির্ভর করে লেনদেন করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি দাবি করেছেন, ডিজিটাল লেনদেনকে আরও জনপ্রিয় এবং বৃদ্ধি করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ছোট নোট ছাপানো বন্ধ রেখেছে। ডিজিটাল লেনদেন ভালো হলেও এমন সমস্যা নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে নোট ছাপানোর পরিপ্রেক্ষিতে সেই সকল নোট বাজারে আনার দাবি তুলেছেন।