নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের জেলায় জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝাড়খন্ডে বৃষ্টির কারণে এখন দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় বন্যার ভ্রুকুটি (Flood Situation) লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে ১০ জেলা রীতিমত চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকারের।
মূলত গভীর নিম্নচাপের কারণে বিপুল পরিমাণে বৃষ্টির ফলে রাজ্যের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের জলাধারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জল জমেছে। এমন অবস্থায় জলাধারগুলির চাপ সামাল দিতে শুরু হয়েছে জলাধার থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া। আর এর ফলেই প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে বন্যার আশঙ্কা। আর এই নিয়েই এবার উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয় নবান্নে।
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও যাতে রাজ্যের ওই ১০ জেলায় সবকিছু স্বাভাবিক থাকে তার জন্য ১০ শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের ওই সকল জেলার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলাশাসকদের সব সময় সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এমন বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : Cusec Meaning: লাখ লাখ কিউসেক জল ছাড়ছে বিভিন্ন জলাধার, কিন্তু জানেন কী ১ কিউসেক মানে কত লিটার জল
যে সকল জেলার পরিস্থিতি খারাপ সেই সকল জেলার দায়িত্বে যাদের দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, হাওড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন এমএসএমআই সচিব রাজেশ পান্ডে, বীরভূমের দায়িত্বে রয়েছেন রাজেশ সিনহা, পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের সুরেন্দ্র গুপ্তা, হুগলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কৃষি দপ্তরের ওঙ্কার সিং মিনাকে, পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খাদ্য দপ্তরের পরভেদ সিদ্দিকীকে।
ঝাড়গ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌমিত্র মোহনকে, পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের সঞ্জয় বনসলকে, বাঁকুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্রম দপ্তরের সচিব অবনীন্দ্র সিংকে, পুরুলিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিল্প দপ্তরের পি মোহন গান্ধীকে, পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরের পি উলগানাথনকে।