নিজস্ব প্রতিবেদন : মহাষষ্ঠীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একেবারে বাঙালি সাজে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করলেন। ভার্চুয়াল এই দুর্গাপূজা উদ্বোধনী প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ১৬ য়ানা বাঙালিয়ানা বক্তব্য ফুটে উঠছিল। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রী বাঙ্গালীদের মন জয় করলেন। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের এই ভাষণ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপিকে বিপুল পরিমাণে অক্সিজেনের যোগান দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এদিন যে ১০টি দিক পরিস্ফুটিত, সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো।
১) বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই বলেন, “সকলকে দুর্গাপূজা ও কালী পূজার শুভেচ্ছা। এত মানুষের উৎসাহ দেখে মনেই হচ্ছে না আমি দিল্লিতে আছি, মনে হচ্ছে কলকাতাতেই আছি।”
২) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন তার বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং রাজা রাম মোহন রায়ের মত বাঙালি মনীষীদের নাম উচ্চারণ করেন। শিল্প-সাহিত্যে তাদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এর পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ক্ষুদিরাম বোস, প্রফুল্ল চাকী, মাতঙ্গিনী হাজরা, শ্রী অরবিন্দ, স্বামী বিবেকানন্দের মত মহাত্মাদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
৩) করোনাকালে দুর্গাপুজো আয়োজনের জন্য পুজো উদ্যোক্তা এবং অন্যান্যদের সংযমের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। উৎসবে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে আনন্দ উপভোগ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
৪) সনাতন ধর্মের পরম্পরা স্মরণ করাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বাংলা ভাষাতেই বলেন, ‘উমা এলো ঘরে’। পাশাপাশি তিনি বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে আয়োজন সীমিত হলেও আনন্দ কম নয়।
৫) এদিন বাঙালি রূপ প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে একাধিক বাংলা প্রবাদ প্রবচন বের হবার পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’। আর এর মাধ্যমে তিনি শ্রমিক এবং কৃষকদের আত্মনির্ভর হয়ে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেন। তিনি এটাও বলেন যে এই বাংলা দেশকে পথ দেখাবে।
৬) নারীদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন নারীরা হলেন দেবী দুর্গার রূপ।
৭) বাংলা ভাষা খুব মিষ্টি ভাষা বলেও তিনি এদিন বাঙ্গালীদের সম্মৃদ্ধ করেন।
৮) উৎসবের মরসুমেও তিনি এদিন সরকারি প্রকল্পগুলির স্মরণ করিয়ে দেন। স্মরণ করিয়ে দেন জনধন যোজনা প্রকল্পের।
৯) অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে বাঙ্গালীদের গৌরব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, আগেও দেশকে পথ দেখিয়েছে, এখনো দেখাচ্ছে এবং বিশ্বাস ভবিষ্যতেও দেখাবে।
১০) দেবী দুর্গা এবং মা কালীর কাছে প্রার্থনা করে তিনি বলেন বছরের পর বছর ধরে যেনো এই ভাবেই মায়ের পুজো এবং সেবা করতে পারি।