Train Ticket Insurance: ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩৫ পয়সা খরচে মিলবে ১০ লক্ষ টাকার বীমা, টিকিট বুকিংয়ের সময় করতে হবে শুধু একটি কাজ

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) একদিকে যেমন দেশের কোটি কোটি মানুষকে প্রতিদিন পরিষেবা দিয়ে থাকে, একদিকে যেমন ভারতীয় রেল তাদের রেল ব্যবস্থায় দিনের পর দিন উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছে, সেই রকমই আবার মাঝে মাঝেই ঘটে চলেছে বড় বড় রেল দুর্ঘটনা (Train Accident)। আর এই সকল ট্রেন দুর্ঘটনায় শত শত মানুষদের প্রাণ হারাতে হয়, হাজার হাজার মানুষদের আহত হতে হয়।

ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই ধরনের রেল দুর্ঘটনায় যাতে আর্থিকভাবে সুযোগ-সুবিধা করতে পারেন সাধারণ যাত্রীরা তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর সেই সকল ব্যবস্থার মধ্যেই একটি ব্যবস্থা হল ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে ইনসিওরেন্স বা বীমা (Train Ticket Insurance)। এই বীমা করানোর জন্য যে শত শত হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় তা নয়, মাত্র ৩৫ পয়সা খরচেই মিলতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা। কোন কোন ক্ষেত্রে এই ইন্সুরেন্সের খরচ কিছুটা হলেও বেশি হয়ে থাকে, তবে তা কখনোই এক টাকার বেশি হয় না।

মূলত ট্রেনের টিকিটের উপর এই যে ইন্সিওরেন্স দেওয়া হয় তাতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা হোক অথবা যেকোনো কারণে কোন পরিবারের একজন সদস্যের মৃত্যু, যদি ওই সদস্য পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে তার পুরো সংসার জলে ভেসে যায়। এক্ষেত্রে বিমার দরুণ মেলা টাকায় ওই পরিবার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে। সুতরাং এই ধরনের বীমা অত্যন্ত জরুরি। আর এই বীমা করানোর জন্য ট্রেনের টিকিট বুকিং করার সময় ছোট্ট একটি কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন 👉 Youth Hostel Digha: মোটা টাকা খরচের দিন শেষ! দীঘায় মাত্র ২২৫ টাকায় হোটেল, বড় ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের

প্রথমেই জানিয়ে রাখা দরকার, ট্রেনের টিকিটের উপর এই যে বীমা দেওয়া হয়ে থাকে তা কাউন্টার থেকে বুকিং করা টিকিটের ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। এমন বীমা পেতে হলে যাত্রীদের অবশ্যই আইআরসিটিসি অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুকিং করতে হবে। অনলাইনে যখন টিকিট বুকিং করবেন ঠিক সেই সময় টিকিট বুকিংয়ের সঙ্গে বীমা করানোর জন্য অপশন পাওয়া যায়। বহু যাত্রী রয়েছেন যারা এই বিষয়টিকে অবজ্ঞা করে চলেন, কিন্তু যেভাবে ভারতে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে তাতে মাত্র কয়েক পয়সা খরচে বীমা করানো অত্যন্ত জরুরী।

ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে এমন বীমা করা থাকলে সফরের সময় যাত্রীর মৃত্যু হলে ১০ লক্ষ টাকা ক্লেম পাওয়া যায়। যদি দুর্ঘটনার দিন থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোন যাত্রী স্থায়ী ভাবে অক্ষমতার শিকার হন তাহলেও ১০ লক্ষ টাকা ক্লেম পাওয়া যায়। এছাড়াও শারীরিক আঘাতের জন্য বীমার টাকার ৭৫ শতাংশ, আংশিকভাবে অক্ষমতার জন্য বিমার টাকার ৬৭ শতাংশ, দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গেলে বিমার টাকার ৬৭ শতাংশ টাকা পাওয়া যায়। কোন অঙ্গ বাদ গেলে ৭.৫% টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্লেম পাওয়া যায়। পাশাপাশি রেলওয়ের ১২৪ ও ১২৪এ, ১২৩ ধারা অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যুতে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করে থাকে। তবে এই ধরনের বীমা আবার সব রুটের ও সব ট্রেনের টিকিটে দেওয়া হয় না।