নিজস্ব প্রতিবেদন : যে ইঞ্জিন আস্ত আস্ত ট্রেনে নিয়ে যায়, সেই সকল ইঞ্জিন তৈরির জন্য দেশে বিভিন্ন সংস্থা এবং কারখানা রয়েছে। তবে সেই সকল কারখানা ও সংস্থার মধ্যে অন্যতম হলো চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (Chittaranjan Locomotive Works)। কেননা এই কারখানার তরফ থেকে ঝড়ের গতিতে ইঞ্জিন তৈরি করে বারবার রেকর্ড তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। আসানসোলের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের মত এবার নজির গড়তে দেখা গেল ডানকুনির শাখাকেও (Chittaranjan Locomotive Works Dankuni)।
আসানসোলের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের চলতি অর্থ বর্ষে ৫৪০টি ইঞ্জিন তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসে ৫০০ টি ইঞ্জিন তৈরি করে ফেলা হয়। যা রেকর্ড। এছাড়াও আসানসোলের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-এর ৭৮ দিনে ১০০ টি ও একদিনে ১২টি ইঞ্জিন তৈরি করার রেকর্ড রয়েছে। এরই মধ্যে এবার তাদের ডানকুনি শাখাও ঝড়ের গতিতে ইঞ্জিন তৈরি করার কাজ শুরু করলো।
ডানকুনির চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের শাখার শিল্যন্যাস হয়েছিল ২০০৯ সালে। যে সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ডানকুনির ওই কারখানায় ইঞ্জিন তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। এখানকার এই ইঞ্জিন তৈরির কারখানা আসানসোলের মতো ঝড়ো ইনিংস না খেললেও এখনো পর্যন্ত তারা ৪২৯টি ইঞ্জিন তৈরি করে ফেলেছে। আর এসবের মধ্যেই চলতি অর্থবর্ষে তারাও নজির তৈরি করল।
আরও পড়ুন ? Train Speed: রাতে ট্রেন কেন সবচেয়ে বেশি গতিতে চলে! রয়েছে এই ৫ কারণ
চলতি অর্থবর্ষে তাদের তরফ থেকে ৬ হাজার হর্স পাওয়ারের ১০১টি ইঞ্জিন তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কারখানার কর্মীদের দাবি, কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হলেও শেষ পর্যন্ত তা তারা করতে সক্ষম হয়েছেন। চলতি অর্থ বর্ষে ইতিমধ্যেই তাদের তরফ থেকে ডব্লিউএজি-৯ এইচসি সিরিজের ১০১টি ইঞ্জিন তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। যা এই কারখানায় কাজ শুরু হওয়ার আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত অর্থ বর্ষে এই কারখানা থেকে ৭৫ টি ইঞ্জিন তৈরি হয়েছিল।
চলতি অর্থবর্ষে এই কারখানা থেকে শেষ যে ইঞ্জিনটি তৈরি করা হয়েছে সেটি পাঠানো হবে দক্ষিণ মধ্য রেলের হায়দ্রাবাদ সংলগ্ন মৌলালি লোকো শেডে। এই ইঞ্জিনটি ব্যবহার করা হবে মালগাড়ি টানার জন্য। খাড়াই পথে যাতে মালগাড়ি টানতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য এই ইঞ্জিনটির ওজন বাড়ানো হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে কারখানার কর্মীদের সূত্রে। অন্যান্য ইঞ্জিনের তুলনায় কিছুটা বেশি ওজন করে এর ওজন করা হয়েছে ১৩২ টন।