নিজস্ব প্রতিবেদন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলি একের পর এক বৈঠক করে চলেছে নিজেদের মধ্যে। কারণ হাতে মাত্র আর কয়েকটি দিন, তারপরেই হবে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আগামী ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সময়সীমা। তার আগে ১৮ জুলাই হবে নির্বাচন এবং ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২১ জুলাই।
এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এখনো পর্যন্ত শাসক দল বিজেপি কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করলেও, প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠক শেষে বিরোধী প্রার্থী হিসাবে উঠে আসছে বেশ কয়েকজনের নাম। আলোচনা হয় শরদ পাওয়ার, ফারুখ আব্দুল্লাহ, গোপালকৃষ্ণ গান্ধী সহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে। তবে এখনো পর্যন্ত কারোর নাম চূড়ান্ত হয়নি।
তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দেশের শাসক দল বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এখনো পর্যন্ত তাদের প্রার্থী বেছে নিতে না পারলেও এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইতিমধ্যেই ১১ জন প্রার্থীর নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা করা ১১ জনের মধ্যে একজনের পর্যাপ্ত নথিপত্র না থাকার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা হল ২৯ জুন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে দাখিল করা প্রার্থীদের দিতে হয় ১৫০০০ টাকা। এছাড়াও নতুন যে নিয়ম করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ৫০ জন প্রস্তাবক এবং ৫০ জন সমর্থক প্রয়োজন হবে। প্রস্তাবক এবং সমর্থক হবেন বিধায়ক ও সংসদরা। এখনো পর্যন্ত যে ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন বিহারের সরণ জেলার লালু প্রসাদ যাদব। অন্যদিকে যে ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তিনি ভোটার লিস্টে থাকা নামের প্রতিলিপি জমা করেননি।
যে সকল ব্যক্তিরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন, তামিলনাড়ুর কে পদ্মরাজন, দিল্লির জীবন কুমার মিত্তল, মহারাষ্ট্রের মহম্মদ এ হামিদ প্যাটেল, নামাক্কলের টি রমেশ, বিহারের শ্যাম নন্দন প্রসাদ, দিল্লির দয়া শংকর আগরওয়াল, দিল্লির ওম প্রকাশ খারবান্দা, বিহারের লালু প্রসাদ যাদব, তামিলনাড়ুর এ মনিথান এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মান্দাতি থিরুপতি রেড্ডি।