ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর প্রকোপে বন্যার ভ্রুকুটি দক্ষিণবঙ্গের ১১ জেলায়

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় যশ বা ইয়াস নিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আতঙ্ক। মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্ট্রম বা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। হওয়া অফিসের তরফ থেকে বিকালে জানানো হয়েছে, শেষ ছয় ঘণ্টা ধরে এই ঘূর্ণিঝড় ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে এগিয়ে আসছে। রাত ১২টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী রূপ নেবে।

Advertisements

Advertisements

প্রথমদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল পশ্চিমবঙ্গে হবে এমনটা আন্দাজ করা হলেও পরে এর অভিমুখ বদলায়। বর্তমান অভিমুখ অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে ওড়িশার চাঁদবালি ও ধামারা বন্দরের মাঝে কোন একটি স্থানে। যে কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বাংলার মানুষদের। তবে ল্যান্ডফল বাংলায় না হলেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই সর্তকতা হিসাবে দক্ষিণবঙ্গের ১১টি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর এই বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ভ্রুকুটি তৈরি হয়েছে।

Advertisements

মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, নদিয়া ও হুগলি এই ১১টি জেলায় অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই সকল জেলার জেলা প্রশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[aaroporuntag]
প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুদিনের প্রবল বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক নদী যেমন সুবর্ণরেখা, কংসাবতী, দামোদর, ময়ূরাক্ষী এবং অজয় নদের জলস্তর হঠাৎ অনেকটাই বাড়তে পারে। আর এই জলস্তর বৃদ্ধি হওয়ার কারণে একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া হতে পারে।

Advertisements