লাল্টু : বর্তমান সময়ে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানান ধরনের প্রতারণার ঘটনাও ঘটে চলেছে। ঠিক সেই রকমই এবার বীরভূমের এক ব্যক্তি এমন ভাবে প্রতারিত হলেন যা অকল্পনীয়। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এস এন রোড এলাকার বাসিন্দা তপন গড়াই এমন প্রতারণার সম্মুখীন হয়েছেন।
তপন গড়াই গত ২৮ জুন জীবন বীমা সংস্থা এলআইসিকে একটি চেক দেন ১ লক্ষ টাকার। বন্ধন ব্যাংকের সেই চেকটি ক্যাশ হয় ২ জুলাই। কিন্তু এরপরেই ৪ জুলাই তার কাছে এক ব্যক্তির ফোন আসে এবং তিনি নিজেকে ব্যাংক কর্মী বলে পরিচয় দেন। তপন বাবুর সন্দেহ হলে তিনি ওই ব্যক্তিকে যা যা প্রশ্ন করেন সব প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। এরপর সন্দেহ দূর হয় তপন বাবুর।
দুজনের মধ্যে বিশ্বস্ততা জন্মানোর পর ব্যাংক কর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি তপনবাবুকে একটি অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। যে অ্যাপটির নাম ‘Auto forward a sms to pc’ বলে দাবি করেছেন তপন গড়াই। এই অ্যাপটি ইন্সটল করার পর কিছুক্ষণের জন্য সেটি ইন্সটল ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এরপরেই দেখা যায় তার এবং তার বাবার সঙ্গে থাকা দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ১০ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এর পাশাপাশি তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকেও উধাও হয়ে যায় ৩০০০ টাকা।
সব মিলিয়ে তপন বাবু, তপন বাবুর বাবা নারায়ণ গড়াই এবং তপন বাবুর স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা দফায় দফায় তুলে নেওয়া হয়। ঘটনার পর পেশায় ট্যাক্সির মালিক এবং ট্যাক্সিচালক তপন বাবু এইভাবে এত টাকা খুইয়ে দুবরাজপুর থানা এবং বীরভূম সাইবার সেল পুলিশের দ্বারস্থ হন।
তবে এর পাশাপাশি তার প্রশ্ন, তিনি কোথাও কোন চেক প্রদান করছেন তা কেবলমাত্র তিন পক্ষের জানা দরকার। প্রথম পক্ষ হলেন তিনি, দ্বিতীয় পক্ষ হল ব্যাংক এবং তৃতীয় পক্ষ যাকে তিনি চেক প্রদান করছেন। তার প্রশ্ন এর বাইরে চতুর্থপক্ষ কিভাবে তার চেক এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে পারে?