২০১৬-তে ১১, ২০২০-তে ৫০! NIRF র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে গেল বিশ্বভারতী

Madhab Das

Published on:

অমরনাথ দত্ত : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ সালে NIRF র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশের মধ্যে ছিল প্রথম ২০ তে। স্থানটা ছিল ১১। এরপর ধীরে ধীরে NIRF র‍্যাঙ্কিং কমতে থাকে। আর কমতে কমতে ২০২০ সালে তা পৌঁছে গেল ৫০ নম্বরে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল, এই চার বছরের মধ্যে NIRF র‍্যাঙ্কিংয়ে একেবারে ১১ থেকে ৫০ এ।

২০১৬ সালে ১১ নম্বরে থাকার পর ২০১৭ সালে বিশ্বভারতী NIRF র‍্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছায় ১৯ নম্বরে। এরপর ২০১৮ সালে র‍্যাঙ্কিং আরও কমে যায়, হয় ৩১। ২০১৯ সালে কমতে কমতে তা পৌঁছায় ৩৭ নম্বরে। আর এবার ২০২০ সালে ৫০। এবছর কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের NIRF র‍্যাঙ্কিংয়ে ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হলো যাদবপুর, কলকাতা, বিশ্বভারতী, কল্যাণী ও বর্ধমান। এছাড়াও রয়েছে খড়গপুর আইআইটি ও আইআইএসইআর কলকাতা।

ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির মধ্যে প্রথম ১০০-য় এরাজ্যের চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে খড়গপুর আইআইটি, ২৯ তম স্থানে নম্বরে রয়েছে আইআইএসইআর কলকাতা, শিবপুর আইআইইএসটি রয়েছে ৪৩ নম্বরে, এনআইটি দুর্গাপুর রয়েছে ৯৬ তম স্থানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। সপ্তম স্থানে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতী, কল্যাণী এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যথাক্রমে ৫০, ৮৯ ও ৯২তম স্থানে। যাদব বিশ্ববিদ্যালয় গতবারের তুলনায় একধাপ এগিয়েছে আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গতবারের তুলনায় দুধাপ এগিয়েছে।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অবশ্য এবিষয়ে জানিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য পদে কেউ ছিলেন না। উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের পর থেকেই বিশ্বভারতী স্থায়ী উপাচার্য অবস্থায় ছিল। যদিও এরপরে ২০১৮ সালের বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য পদে বসেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।