নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা রুখতে ভারতের হাতে রয়েছে তিনটি অস্ত্র। এই তিনটি অস্ত্র হলো কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি। কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক ভি এই দুই টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান হল ২৮ দিন। তবে কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ডোজের ব্যবধানের বদল আনলো কেন্দ্র।
কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দফায় জানানো হয়েছিল প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান হবে ২৮ দিন। পরে এই ব্যবধান বাড়িয়ে করা হয় ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। আর পুনরায় এই ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে। জাতীয় টিকাকরণ দলের সুপারিশ অনুযায়ী এই ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বর্তমান সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর। অর্থাৎ আগে যেখানে দেড় মাস থেকে দু’মাসের ব্যবধান ছিল বর্তমানে সেই ব্যবধান হচ্ছে তিন থেকে চার মাস। তবে এই ব্যবধান বৃদ্ধি নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল সহ একাধিক মহলে নানান প্রশ্ন উঠছে।
বর্তমানে ভারতের টিকার সংকট চলাকালীন এই ব্যবধান বৃদ্ধির কারণে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন তাহলে কি পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ না থাকার কারণেই এই ব্যবধান বাড়ানো হলো? আবার অনেকের প্রশ্ন এই ব্যবধান যদি বিজ্ঞানসম্মত হয়ে থাকে তাহলে এর আগে যারা অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের কি হবে? কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে নাকি পুনরায় তৃতীয় ডোজ নিতে হবে?
[aaroporuntag]
যদিও সরকারি প্যানেলের এই সুপারিশকে চিকিৎসক মহলের একাংশের স্বাগত জানিয়েছেন। এর আগে অধিক কার্যকারিতার জন্য কোভিশিল্ডের দুই ডোজের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছিল। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করছে এই টিকার দুই ডোজের ব্যবধান বেশি হলে কার্যকারিতাও বেশি ভালো হয়।