স্কুল কলেজের ছুটি বাড়লো ১৫ দিন, করোনা ঠেকাতে ১২ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের পাশাপাশি দেশজুড়ে বেড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। করোনাভাইরাস ইতিমধ্যেই ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১৫। মৃত ২। একের পর এক বাতিল হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের সফর, বাতিল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফর, বাতিল হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ঘরোয়া লিগ। আর এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ৩১ শে মার্চ নয়, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো আরও ১৫ দিন। এছাড়াও আরও ১১ দফা ঘোষণা।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তারপর সোমবার নবান্নে একটি বৈঠক হয়। আর নবান্নের সেই বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিও বন্ধ রাখা হবে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত। তবে এই সকল আইসিডিএস কেন্দ্রগুলির থেকে যে চাল-ডাল দেওয়া হয় তা পৌঁছে যাবে বাড়িতে বাড়িতে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য কোন রকম প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। যে কারণে এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল সর্তকতা। পাশাপাশি তিনি এদিন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিকে রোগী ফিরিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সিনেমা হল থেকে অডিটোরিয়াম বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন। জমায়েত হয় এমন অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনা ঠেকাতে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রীর ১২ দফা ঘোষণা

  • সমস্ত স্কুল ও আইসিডিএস কেন্দ্র ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
  • ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সিনেমা হল, অডিটোরিয়াম, সুইমিং পুল, রিয়েলিটি শো’র শ্যুটিং, স্টেডিয়াম বন্ধ রাখতে হবে।
  • করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
  • এযাবৎ ৩ লক্ষ ২৪ হাজার জনের স্ক্রিনিং হয়েছে। ৫৫৯০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা চলছে।
  • ২ লক্ষ N-95 মাস্কের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
  • ১০ হাজার থার্মোমিটার কেনা হচ্ছে।
  • ৩০০ নতুন ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
  • করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত ১০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে অতিরিক্ত বিমার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
  • শপিং মল, সরকারি ও বেসরকারি অফিস সর্বত্র হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • ধর্মীয় সংগঠন ও ক্লাবগুলি যেন সব রকমের ভিড় ও জমায়েত এড়িয়ে চলে।
  • বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীকে না ফেরানোর অনুরোধ।
  • ট্রেন ও বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।