International Air and Space Program: যত দিন যাচ্ছে ততই কম-বেশি সর্বদিকেই উন্নতি ঘটছে। তেমনি আবিষ্কারের দিক থেকেও আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলা। মহাকাশ গবেষণায় এক চমৎকার জিনিস আবিষ্কার করল বাংলার দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অয়ন। আমেরিকার বিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (International Air and Space Program) গবেষণা করার সুযোগ পান বাংলার অয়ন। ভারতীয় হিসেবে এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে মার্কিন মুলকে চলছে অয়নের জয়-জয়কার। কে এই অয়ন? কি তার পরিচয়? সে কি আবিষ্কার করল? তার এই উজ্জ্বল সাফল্যে কি বলছে তার বাবা-মা?
সূত্রের খবর বেশ কিছু মাস আগেই আমেরিকার বিখ্যাত মহাকাশ (Space News) গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামের (International Air and Space Program) আয়োজন করেন। মার্কিন স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারের আয়োজিত সেই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় বাংলার অয়ন। মূলত প্রথম থেকেই তার রকেট সায়েন্সের বিষয়ে আলাদাই একটা আকর্ষণ রয়েছে। তবে এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে আর্থিক অনটন অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। পরে ভারতেরই এক সংস্থার সাহায্যে সেই বাধা কাটিয়ে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আমেরিকার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় অয়ন।
আরো পড়ুন: বিশাল সফলতা, অত্যাধুনিক ভারতের তৈরি অস্ত্র কিনতে এবার মুখিয়ে ফ্রান্সও
আমেরিকায় আয়োজিত এই প্রোগ্রাম (International Air and Space Program) চলেছিল ১১ থেকে ১৫ই নভেম্বর। আর সেই প্রোগ্রামে ভারতীয় হিসেবে একমাত্র অয়নই অংশগ্রহণ করেছিল। তার সাথে ছিল আমেরিকা ও মেক্সিকোর ৬ জন গবেষক। আর তাদের সাথেই একত্রে এক পদার্থ তৈরির তত্ত্ব আবিষ্কার করে অয়ন। যে ত্ত্ব ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত গবেষকদের বেশ নজর কাড়ে। কি সেই তত্ত্ব? সেই তত্ত্বের কাজই বা বাকি?
আরো পড়ুন: শীতে ঘর গরম রাখতে লাগবে না রুম হিটার! এই বিশেষ জিনিস থাকলেই ঘর হয়ে উঠবে উষ্ণ
মহাকাশ গবেষণার এই প্রোগ্রামে (International Air and Space Program) অয়ন যে তত্ত্ব তৈরি করে সেই তত্ত্ব অনুযায়ী এমন এক ধরনের পদার্থ তৈরি করা যেতে পারে যে পদার্থ মহাকাশের খারাপ পরিস্থিতিতেও দিব্যি টিকে থাকতে পারবে। যা মহাকাশ গবেষণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে এ বিষয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করার জন্য এই পদার্থটিকে মহাকাশে পাঠানো হবে। স্পেস স্টেশনে পরীক্ষায় যদি এই পদার্থ সফল হয় তাহলে পরবর্তীতে চন্দ্র অভিযানে এই তত্ত্বের প্রয়োগ করা হবে।
বাংলার এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম অয়ন দেওঘরিয়া। বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের অন্তর্গত মনতুমড়া গ্রামের বাসিন্দা অয়ন। একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেন অয়ন। আর সেই পড়াশোনার কারণেই বাঁকুড়া শহরের পাশেই ভাড়া বাড়ি নিয়ে থাকতে হয় অয়নের পরিবারকে। ছোট থেকেই অয়নের সায়েন্স রকেটের প্রতি আসক্ত দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে বিজ্ঞানীদের নজর কাড়ে অয়ন। সেরকমই মার্কিন মুলুকেও চমৎকার আবিষ্কার এনে প্রশংসিত হলেন অয়ন। ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত অয়নের পিতা-মাতা। গর্বিত সারা বাংলা। তবে অয়ন তার এই আবিষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে ভগবানকে। কারণ ভগবান তাকে সাহস জুগিয়েছে বলে সে এত দূর এগোতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন বাংলার দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।