নিজস্ব প্রতিবেদন : চতুর্থ দফায় লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে হয়েছে ৩১ শে মে পর্যন্ত। চালু হয়েছে নাইট কার্ফু। মানুষ যাতে সন্ধ্যে সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বের হন তার জন্য কড়া নির্দেশ জারি করেছেন কেন্দ্র সরকার। গোটা দেশ ও রাজ্য কতগুলি জোনে বিভক্ত হয়ে গেছে। কার্ফু নিয়ম জারি করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করার কথা নির্দেশিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবু কিছু মানুষ অসচেতন অসতর্কের মত চলাফেরা করছেন। করোনার মতো একটা ভাইরাসকে বিশেষ পাত্তাই দিচ্ছেন না।তাদের এই অসচেতনতা এবং অসতর্কতায় গোটা জাতি ও দেশের জন্য চরম বিপদ ডেকে আনবে। বিপদগ্রস্থ হবে তার নিজের পরিবারও। কিন্তু সব জেনেও কিছু মানুষের হুঁশ ফিরছে না বলে অভিযোগ। আর করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে দেশজুড়ে।
গত রবিবারের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে দেশে করোনা সংক্রমিত সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৬৮ জন। করোনার ফলে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮৬৭। আর সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেলো করোনাতে সংক্রমিত সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৯ হাজারের কাছাকাছি। বর্তমানে ভারতবর্ষে করোনাতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৪৬। এই অল্প সময়ে ১৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে
বেড়ে গেছে মৃতের সংখ্যাও। মৃতের সংখ্যা এখন ৪০২১। গোটা ভারতবর্ষে এখন অ্যাক্টিভ করোনা রোগী ৭৭১,০৩। করোনাতে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫৭৭২১ জন।
দেশের সকল রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমিত সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন ১৬৩৫ জন। সেখানে করোনা আক্রান্ত ৫০২৩১ জন। এরপর করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি পর্যায়ক্রমে তামিলনাড়ু, গুজরাট, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ,ও উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশ এরপরেই আছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের পরে অন্ধপ্রদেশ, বিহার ও কর্ণাটকের স্থান।
তামিলনাড়ুতে ১৬২৭৭ জন করোনাতে সংক্রমিত। গুজরাট এই সংখ্যাটা ১৪০৫৬। দিল্লিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৩৪১৮। রাজস্থানে করোনা সংক্রমিত ৭০২৮, মধ্যপ্রদেশে ৬৬৬৫, উত্তরপ্রদেশের ৬২৬৮। পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমিত সংখ্যা ৩৬৬৭, অন্ধপ্রদেশে ২৮২৩, বিহারে ২৫৮৭ ও কর্নাটকে ২০৮৯ জন সংক্রমিত।