ফের ঘূর্ণাবর্ত, ১৪ জেলায় দুর্যোগের আশঙ্কা, প্রতি ব্লক-পৌরসভায় কন্ট্রোল রুম

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় গুলাব থেকে রক্ষে মিলেছে পশ্চিমবঙ্গের। তবে এই ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষে পাওয়া গেলেও নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত অশনিসঙ্কেত তৈরি করেছে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নতুন ঘূর্ণাবর্তের জেরে আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

গত সপ্তাহে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল পরপর দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। সেই পূর্বাভাস বাস্তবায়িত হয়ে প্রথম ঘূর্ণাবর্তটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলের দিকে ঘুরে যায়। আর দ্বিতীয় ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ করবে বলে পূর্বাভাস। এমত অবস্থায় রাজ্য সরকার কলকাতাসহ ১৪টি জেলাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফ থেকে ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্লক এবং পৌরসভায় খুলতে হবে কন্ট্রোল রুম। নিচু এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের জরুরী ভিত্তিতে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তৈরি রাখতে হবে স্কুল কলেজ এবং সাইক্লোন সেন্টারগুলিকে।

এছাড়াও চিঁড়ে, গুড়, বেবি ফুড সহ শুকনো খাবার তৈরি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ফেরি সার্ভিস চলে এমন জেলাগুলির ক্ষেত্রে পরিষেবা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শহরাঞ্চলে জমা জল বের করার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে পাম্প। কোন রকম দুর্যোগ আসার আগে রাস্তার ধারে থাকা ইলেকট্রিসিটি আলো, খোলা তার এবং ডিস্ট্রিবিউশন বক্সগুলিকে ঢেকে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাকি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও উত্তর ২৪ পরগনায় দু’এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই সকল জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বইতে পারে। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেটি বাংলা উপকূলের দিকে সরে আসবে। তার জেরেই এই বৃষ্টি।”