বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ দিনরাত পরিশ্রম করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষকরা (Farmers) ফসল ফলিয়ে থাকেন। যে ফসল আমরা খাবার হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। তবে এই কৃষকরা এত পরিশ্রম করলেও তাদের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে দেখা যায়। কষ্ট করে তারা ফসল ফলালেও তার সঠিক দাম পান না বলে অভিযোগ আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের হাল কিন্তু সেই একই রয়ে গিয়েছে।
কৃষকদের নিয়ে যখন এমন নানান ধরনের প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে সেই সময় কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে তাদের হাল ফেরাতে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা থেকে শুরু করে কৃষির আসবাবপত্র কেনা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে সরকারের। আর এসবের মধ্যে এবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হল শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১৪ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে মূলত কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করার জন্য। তবে এই আয় হঠাৎ করে বৃদ্ধি হবে না। এর জন্য একটি মিশন নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে, যে মিশনটি মূলত ডিজিটাল এগ্রিকালচার মিশন। ডিজিটাল এগ্রিকালচার মিশন এবং কৃষি বিজ্ঞানের জন্য প্রকল্প রয়েছে এই মিশনের আওতায়। মূলত সাতটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের তরফ থেকে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করার জন্য।
আরও পড়ুন : Darjeeling Glass Bridge: দার্জিলিঙের নতুন আকর্ষণ, তৈরি হচ্ছে কাঁচের সেতু
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পাইলট প্রজেক্ট শুরু করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আগামী দিনে এই সকল প্রজেক্ট অন্যান্য জায়গাতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ডিজিটাল এগ্রিকালচার মিশনের জন্যই কেবলমাত্র ২৮১৭ কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্র। অন্যদিকে শস্য বিজ্ঞানের জন্য ৩৯৭৯ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিককালের দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যাবে, জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। জলবায়ু এই পরিবর্তনকে চ্যালেঞ্জ করেই কিভাবে ফসল ফলানো যায় তার জন্য বিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া হবে। একইভাবে আরও যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে উদ্যান পালনের উন্নয়নের জন্য ৮৬০ কোটি টাকা, কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য ১২০২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য এমনিতেই বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে আর এসবের মধ্যে এবার কৃষি উন্নয়নে যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাতে আশা করা হচ্ছে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের কৃষি ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন চলে আসবে।