করোনা যুদ্ধে দেশের মাথাব্যথা এখন ১৫ টি জেলা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ৩০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। আর এই ৩০ লক্ষের মধ্যে আমেরিকাতেই রয়েছে ১০ লক্ষ। তালে তাল মিলিয়ে ভারতেও সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ৩০০০০ (৩১৩৩২)। ভারতে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে ১০০৭। আর এমন অবস্থায় দেশের আমজনতাদের মধ্যে ঘুরছে একটি কথা, ‘ভারত করনা যুদ্ধে জয়লাভ করবে তো?’

এই প্রশ্নের পিছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। যা হলো বর্তমানে দেশে লকডাউন চলা অবস্থায় সংক্রমণ এই জায়গায় এলে যদি লকডাউন উঠে যায় তাহলে কি হবে। তবে এই লকডাউন চলাকালীনই আরও একটি আশার আলো ইতিমধ্যেই দেশে করোনা সংক্রামিত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৬৯৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে সুস্থতার হার নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই করোনা যুদ্ধে ভারত আগামী দিনে জয়লাভ করবে কিনা তা ভবিষ্যতই বলছে।

জয় লাভের বিষয়ে আশাবাদী দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আমজনতারা। কারণ ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্যের মধ্যে পাঁচটি রাজ্য করোনা মুক্ত হতে পেরেছে। অন্যদিকে আরও একটি রাজ্য গোয়া আগেই করোনা মুক্ত রাজ্য হিসেবে নিজেদের ঘোষণা করে দিয়েছে। তাই জয় লাভের বিষয়ে আশার আলো প্রকট। কিন্তু তা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের ১৫ টি জেলাকে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই ১৫ টি জেলায় করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হলেই জয়লাভ নিশ্চিত করবে ভারত।

যে ১৫ টি জেলা নিয়ে দেশের মাথা ব্যথার কারণ সেই ১৫ টি জেলা দেশের ১০টি রাজ্যে রয়েছে। যেগুলি হল উত্তরপ্রদেশের আগ্রা, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর রাজস্থানের যোধপুর, জয়পুর, তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদ, গুজরাতের আহমেদাবাদ, সুরাত, বরোদা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল ও মহারাষ্ট্রের থানে৷ আর অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মাথাব্যথা আরও ৫ টি জেলা। যেগুলি হলো কলকাতা, হাওড়া, দুই চব্বিশ পরগণা ও হুগলি। মূলত পশ্চিমবঙ্গের এই সকল জেলা থেকেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এই জেলাগুলির অজস্র জায়গা এখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ।

যদিও নীতি আয়োগের প্রধান অমিতাভ কান্ত ট্যুইটারে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে তেমন কিছু জানান নি। তিনি দেশের বাকি ১৫ জেলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।, “এই ১৫টি শহরে করোনা নিয়ন্ত্রণের কাজ সবথেকে কঠিন৷ যাদের মধ্যে ৭টি জেলায় দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। ভারত করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতবে কিনা, তা অনেকটাই নির্ভর করছে এই ১৫ টি শহরের পরিস্থিতির উপরে৷ আমাদের এই শহরগুলিতে কঠোর নজরদারি, কন্টেইনমেন্ট, পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে৷”