নিজস্ব প্রতিবেদন : চালু হয়েছে হুগলির চন্দননগর থেকে কলকাতা ফেরি পরিষেবা। তবে এই পরিষেবা চালু হয়েই ক্ষান্ত থাকতে চাইছে না পরিবহন দপ্তর। এবার এই ফেরি পরিষেবায় একের পর এক পরিবর্তন এনে যাত্রীদের চমকে দিতে চাইছে সরকার। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই ১৫ টি ঝাঁ চকচকে ভেসেল (Vessel) নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো শহরের যানজট দূর করা এবং সবুজ ও বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া। এই সকল উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার জন্যই নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করা হচ্ছে। নতুন যে ১৫টি ঝাঁ চকচকে ভেসেল নামানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলি হবে ই-ভেসেল।
যে ভেসেলগুলি নামানো হবে সেগুলি হবে সম্পূর্ণভাবে ব্যাটারি চালিত। এর জন্য সেই সকল ভেসেলের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং স্টেশন তৈরি করার তোড়জোড় চালানো হচ্ছে। পুরাতন ডিজেল চালিত যে সকল ভেসেল রয়েছে সেগুলি থেকে ধোঁয়া নির্গত হয়। কিন্তু নতুন যে সকল ভেসেল হুগলি নদীতে (Hooghly River) নামতে চলেছে সেগুলির কোনটি ডিজেল চালিত না হওয়ার কারণে ধোঁয়া নির্গত হবেনা।
এর পাশাপাশি এই সকল ফেরিগুলি একসঙ্গে ১০০ জনকে নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এগুলির ইঞ্জিন ক্ষমতা অনেক বেশি। এর পাশাপাশি এই সকল ভেসেলগুলি হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। এখানেই শেষ নয় আরও এমন সব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক এই সকল ভেসেলগুলিতে যেগুলি শুনলেই রীতিমতো চমকে উঠতে হবে যাত্রীদের।
অত্যাধুনিক এই ভেসেলগুলিতে থাকছে বায়ো টয়লেট থেকে শুরু করে আরাম করে বসার জন্য আরামদায়ক সিট। ইউরোপের মত দেশগুলিতে এই ধরনের ভেসেল ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এবার সেই রকমই অত্যাধুনিক ভেসেল নামতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীতে।