বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় এয়ারপোর্ট হিসেবে ইতিমধ্যেই বাগডোগরা এয়ারপোর্ট (Bagdogra Airport) আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের তকমা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের তকমা পাওয়ার পাশাপাশি এবার এই এয়ারপোর্টকে নিয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একের পর এক দুর্দান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই সকল পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে বাংলার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টকে।
বাংলার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট বাগডোগরা এয়ারপোর্টকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৫৪৯ কোটি টাকার ফান্ড দেওয়া হবে। বিপুল অংকের এই টাকা দিয়েই এয়ারপোর্টের বিভিন্ন পরিকাঠামো গত উন্নয়ন করা হবে। কেননা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের তকমা পাওয়ার পর এখন যেকোন বিমান সংস্থা চাইলে ওই বিমানবন্দর থেকে বিদেশের জন্য বিমান পরিষেবা চালু করতে পারে।
বাগডোগরা এয়ারপোর্টের জন্য ১৫৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সিভিল এনক্লেভ নির্মাণে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তৈরি করা হবে নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং। যে টার্মিনাল বিল্ডিং হবে ৭০ হাজার ৩৯০ স্কোয়ার মিটারের। নতুন যে টার্মিনাল তৈরি করা হবে সেই টার্মিনাল ব্যস্ত সময়ে তিন হাজার যাত্রীকে শ্যামলানোর ক্ষমতা রাখে। এই সকল পরিকাঠামগত পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে বাগডোগরা বিমানবন্দর বছরে এক কোটি যাত্রী পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি ১০টি বে তৈরি করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে যে বেগুলিতে A321 এয়ারক্রাফট পার্কিং করার ব্যবস্থা হবে। এছাড়াও বিমান চলাচল করার জন্য তৈরি করা হবে দুটি ট্যাক্সিওয়ে। অন্যদিকে মাল্টি লেভেলের পার্কিং ব্যবস্থা তৈরি করা হবে সম্প্রসারিত বাগডোগরা বিমানবন্দরে। হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করার পাশাপাশি তার মান আন্তর্জাতিক মানের করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, আগামী ৩০ আগস্ট থেকে বাগডোগরা ও অন্ডালের মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওই বিমানটিতে করেই যাত্রীরা ভুবনেশ্বর পৌঁছে যেতে পারবেন। ৩০ আগস্ট থেকে নতুন যে বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে সেই বিমান পরিষেবার জন্য ৩৯৯৯ টাকা টিকিট ভাড়া রেখে প্রাথমিকভাবে পরিষেবা শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। একইভাবে অন্যান্য বিভিন্ন রুটেও আগামী দিনে বাগডোগরা থেকে বিমান পরিষেবা চালু হবে এবং এই এয়ারপোর্টের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বছরে এক কোটির বেশি যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়া।