চরম ছোঁয়াচে, একসঙ্গে ১৮ জনের মধ্যে ছড়ায়, ৫ লক্ষণ হতে পারে ওমিক্রন বিএফ.৭

Antara Nag

Updated on:

Advertisements

এ তো যেন করোনার পালা শেষ হওয়ার কোন নামই নেই। যখন মানুষ ভাবতে শুরু করেছে যে সব কিছু বোধ হয় স্বাভাবিক হয়ে মানুষ পুনরায় আগের জীবনে ফিরতে চলেছে, তখনই সামনে এলো ওমিক্রণের এক নতুন উপরূপ। যার নাম দেওয়া হয়েছে বিএফ ৭। ইতিমধ্যেই এই বিএফ ৭ লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলেছে চীনে।

Advertisements

ওমিক্রণের এই উপরূপটি পূর্বের উপরূপগুলির থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এবং আশঙ্কার কথা এই যে এই জীবানুর সন্ধান মিলেছে ভারতেও। বিএফ ৭ এর জীবাণুতে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি প্রায় ১৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা সামান্য অসতর্ক চালচলণের কারণেও ভারতে আবারো করোনার নতুন ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সাধারণ মানুষকে কোভিড বিধি মেনে চলা খুবই আবশ্যক।

Advertisements

ওমিক্রণের এই উপরূপ নিয়ে দেশের সরকারও যথেষ্ট চিন্তিত। তাই সরকার পক্ষ থেকে নানা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল বারবার মাস্ক পড়ার উপর জোর দিচ্ছে। তাই পূর্বের ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামাজিক গতিবিধিতে আরো সতর্কতা আনা উচিত। এই ভ্যারিয়েন্টটি মূলত করোনার বিএফ ৫ ভ্যারিয়েন্টের একটি অভিযোজিত রূপ। তাই এর লক্ষণগুলিও খানিকটা বিএফ ৫ এর মতোই।

Advertisements

তবে করোনার সাধারণ লক্ষণগুলি সাধারণ ঠান্ডা সর্দি কাশি জনিত রোগের লক্ষণগুলির খুবই সদৃশ। তাই এই শীতকালে মানুষের ঠান্ডা সর্দি কাশি জনিত লক্ষণগুলির সাথে প্রায়শই গুলিয়ে যায় ওমিক্রণের উপসর্গগুলি। আর মূল সমস্যা তৈরি হয় এখানেই। কারণ সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি, কাশি জনিত সমস্যা যেহেতু দুই থেকে তিন দিনেই মিটে যায় এবং এর জন্য আলাদা করে কোন ডাক্তার বদ্যি করার প্রয়োজন হয় না তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওমিক্রণের উপসর্গ গুলি দেখা দিলেও মানুষ সাধারন ঠান্ডা সর্দি কাশি জনিত রোগ ভেবে তাকে অবহেলা করে এবং সেই সুযোগে করোনা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে।

​ওমিক্রণের সাধারণ লক্ষণ গুলি হল: ১. নাক দিয়ে জল গড়ানো, ২. নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ৩. গলা ব্যথা শুকনো কাশি, ৪. জীভের ও নাকের স্বাদ গন্ধ উধাও হয়ে যাওয়া এবং ৫. ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার উপসর্গ। বিশেষজ্ঞরা তাই বার বার বলছেন এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে সাধারণ ঠান্ডা সর্দি কাশি বলে অবহেলা না করে অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যথা সময়ে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজেশন করুন।

Advertisements