বর্তমানে বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের হাতেই রয়েছে মুঠোফোন। আর সেই মুঠোফোনে ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ সারাদুনিয়ার খুঁটিনাটি দেখতে পাচ্ছে বাড়িতে বসেই। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা প্রতিদিনই নিত্যনতুন নানা প্রান্তের নানা ধরনের ঘটনা দেখে থাকি এবং শুনে থাকি। সম্প্রতি সেরকমই এক ঘটনা উঠে এসেছে নেটদুনিয়ায়। যা শুনে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে। ঘটনাটি হল এক জন ৭০ বছর বয়সের পুরুষের সাথে এক জন ১৯ বছর বয়সের মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। সূত্রের খবর জানা গিয়েছে, ওই তরুণী নিজের ইচ্ছায় এবং স্বজ্ঞানে ওই বৃদ্ধকে বিবাহ করেছেন। এই দম্পতির বয়সের তফাত ৫১ বছর।
এক সাক্ষাৎকারে ওই তরুণী জানিয়েছেন, “একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মান এবং মর্যাদা সব কিছুর উপরে। আর যেখানে সারা জীবনের একটা সম্পর্ক তৈরি হতে চলেছে, সেখানে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” পাকিস্তানের ওই দম্পতির নাম হলো লিয়াকত-শুমাইলা। প্রথমদিকে ওই তরুণীর পরিবার এই বিবাহ মানতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু এই দম্পতির ভালোবাসার কাছে ওই তরুণীর পরিবারকে হার মেনে রাজি হতে হলো তাদের বিবাহ দিতে।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী লিয়াকত-এর থেকে সম্মান, মর্যাদা এবং ভালোবাসা পেয়ে সব কিছু বুঝে এই বিবাহে রাজি হয়েছেন। এছাড়া লিয়াকতও তাদের এই বয়সের তফাত নিয়ে বলেছেন, “আইনি দিক থেকে যদি কোনও বাধা না থাকে, তা হলে বয়সের ফারাক হলেও কে বুড়ো, কে জোয়ান তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথাই নয়।”
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় এই খবর জানিয়েছেন এক ইউটিউবার। যার নাম বাসিত আলি। অর্থাৎ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সের তুলনায় সম্মান, মর্যাদাটাই যে মূল বিষয় সেটাই স্পষ্ট করলেন এই তরুণী। তবে এই ঘটনা নেটদুনিয়ায় নতুন নয়, এর আগেও ঘটেছে এই ধরনের ঘটনা।