Pradhan Mantri Awas Yojana: রাতারাতি ২০% নাম কাটা যায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে, এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ কি!

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Pradhan Mantri Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana), PMAY সংক্ষেপে, ‘সকলের জন্য আবাসন’ নিশ্চিত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে চালু করা হয়েছিল। শহুরে এবং আধা-শহুরে এলাকায় ফোকাস করে, প্রাসঙ্গিক প্রকল্পটিকে PMAY-U বলা হয়। PMAY-U-এর জন্য যোগ্য উপভোক্তারা হলেন – অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ থেকে নিম্ন/মধ্য আয়ের গোষ্ঠী। একইভাবে, গ্রামীণ এলাকায় PMAY-G চালু করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প হলেও রাজ্য সরকারের গভর্নিং বডি দ্বারা উপভোক্তাদের বাছাই করা হতো। তবে এই প্রক্রিয়াতেও গন্ডগোলের আভাস পাওয়া গেছে।

Advertisements

এই স্কিমটির কোনো অপব্যবহার বা অপপ্রয়োগ এড়াতে নিয়মগুলি বেশ কঠোরভাবে সাজানো হয়েছে। আধার কার্ড এন্ট্রিগুলি ট্র্যাকিংয়ের উদ্দেশ্যে রেকর্ডে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তারা যোগ্য বলে মনে করার পরেও, অনেক লোক তাদের বরাদ্দের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার রিপোর্ট করেছে। পরপর দুটি লটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) তালিকায় ভুয়ো নাম পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেও বঞ্চিত হচ্ছে বহু গরীব মানুষ। যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকার এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে ঠিক করেছে।

Advertisements

আরো পড়ুন: এবার থেকে সাধারণ মানুষ আবাস যোজনা পাবে রাজ্যের সিদ্ধান্তে, কেন্দ্রের শর্তে নয়

বাথ চলে যাচ্ছে বহু নাম। তাই পশ্চিমবঙ্গের কোনায় কোনায় তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সোনা গিয়েছে যে ২০ শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম দফার টাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে দেবে। যার ফলে চলছে কড়া পর্যবেক্ষণ। গ্রামাঞ্চলে এই আবাস যোজনার নাম নথিভুক্ত নিয়ে বেশ কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে ১৩ই ডিসেম্বরের মধ্যে কারা কারা এই যোজনার সুবিধা পেতে চলেছে তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে চলেছে।

Advertisements

আরো পড়ুন: কালীঘাটে মিলল মাটির নীচে তেল, বিপুল পরিমাণ জলমিশ্রিত পেট্রলের মূল্য অবাক করার মতো

এমতাবস্তায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষজন অভিযোগ করছে যে যারা প্রকৃত ভাগীদার, যাদের সত্যিই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) থেকে সাহায্যের প্রয়োজন তাদের নাম বাদ পড়ছে এই তালিকায়। বরং ভিড় বাড়ছে অযোগ্য ব্যক্তিদের, যারা সাহায্য পাওয়ার যোগ্য নয়। তাদের নাম একের পর এক লিস্টে দেখা যাচ্ছে। তবে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে, তিনি এই টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত মানবিক থাকবেন। তিনি কারোর পক্ষপাতিত্ব করবেন না।

মুখ্যমন্ত্রীর আওয়াজ শোনার পরেই শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। এখনো পর্যন্ত ১৬ লক্ষ উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করা হয়। যার মধ্যে বাদ পড়ে ৩.৫ লক্ষের নাম অর্থাৎ প্রায় ২০ শতাংশ বাদ চলে যায়। চারটি জেলা থেকে বেশি নাম বাদ পড়ছে বলে জানা যায়। সেই চারটি জেলা হলো – উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ। এই ঘটনার পরে আবারো সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে।

Advertisements