লাল্টু মুখার্জি: ফেব্রুয়ারি মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষা। যে ফেব্রুয়ারি মাসকে ভালোবাসার মাস বলা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এমন ভালোবাসার মাসে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষার্থীরা একটু ভালোবাসা পাবে, এটাই স্বাভাবিক।
সোমবার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় যখন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা নিজেদের সেন্টারে সেন্টারে যাচ্ছে সেই সময় পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল তাদের আদর করে পরীক্ষা ভালো হোক এমন কামনায় বিভিন্ন আয়োজন করেছে। কোথাও তাদের আদর করে জলের বোতল, কোথাও পেন, আবার কোথাও গোলাপ ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় যখন পরীক্ষার্থীরা পা রাখতে চলেছে সেই সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দুবরাজপুরে দেওয়া হয় গোলাপ ফুল, পেন, চকলেট, জলের বোতল। দুবরাজপুরের পাশাপাশি বীরভূমের বিভিন্ন জায়গাতে এমন ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্যবস্থা একদিকে যেমন পরীক্ষার্থীদের মনোবল চাঙ্গা করছে, ঠিক সেই রকমই আবার তাদের পাশে সবাই রয়েছে এমন বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গৃহহীন বৃদ্ধাদের আবাসনে আংটি বদল হবু দম্পতির
বীরভূমের দুবরাজপুর শহরে দুবরাজপুর থানা ও ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটি করে গোলাপ ফুল, পেন ও চকলেট দেওয়া হয়। এছাড়াও দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও একটি করে পেন ও জলের বোতল দেওয়া হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের সব সময় সহযোগিতার জন্য ক্যাম্প করা হয়েছে। অন্যদিকে সদাইপুর থানার তরফে পরীক্ষার্থীদের একটি করে পেন ও জলের বোতল দেওয়া হয়। দুবরাজপুর ও সদাইপুর ছাড়াও জেলার অন্যান্য প্রান্তেও এমন আয়োজন করা হয়েছে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলির তরফে।
এছাড়াও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় যে সকল ক্যাম্প করা হয়েছে সেই সকল ক্যাম্পে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন। দুবরাজপুরের ক্যাম্পে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় দুবরাজপুর শহর তৃণমূল সভাপতি স্বরূপ আচার্য, দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে, দুবরাজপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা সৌকত আলি সহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের।