Shasya Bima: রাজ্য সরকার বরাবর রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে নানারকমের প্রকল্প চালু করে আসছে। রাজ্যবাসী যাতে আর্থিক সহায়তা পায় সেই দিকেও কড়া নজর রয়েছে রাজ্য সরকারের। নতুন বছরে রাজ্যের কৃষকদের ভাগ্যের চাকার পরিবর্তন হচ্ছে। চলতি বছর পড়তে না পড়তেই কৃষকরা পেতে চলেছে দুর্দান্ত সুখবর। নিশ্চয়ই এতক্ষণে জানতে ইচ্ছা করছে কি সেই খবর? আজকের এই প্রতিবেদনটিতেই আছে সেই প্রশ্নের উত্তর।
দারুণ সুখবর দিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, এই মাসের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের শস্য বীমার (Shasya Bima) আয়তায় আনা হবে। রাজ্যে যত কৃষক রয়েছে তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ লক্ষ কৃষক বাংলা শস্য বীমার আওতায় এসেছেন। এই প্রচেষ্টার ফলে লাভবান হবে রাজ্যের কৃষকেরা। ফসল দিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা এবার শেষ হবে।
বর্তমানে অবশ্য চলছে রবি শস্যের মরশুম। এই মরশুমে কৃষকদের নতুন করে বাংলা শস্য বীমার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকদের শস্য বীমার আওতায় আনার কাজটি আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে একনাগারে। বাংলার কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকার (West Bengal) ইতিমধ্যেই শস্যবীমা (Shasya Bima) খাতে ৩৫০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিয়েছে। খারিফ মরশুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই ওই টাকা পাঠানো হয়েছে। তাই যেসব কৃষকেরা এই বীমার আওতায় আসছেন তাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভ হবে অবশ্যই।
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী চলতি সপ্তাহতেই কৃষি দপ্তরের সচিব ওঙ্কার সিং মিনা-সহ সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই বৈঠকে? তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেক কৃষককে এই শস্যবীমার আওত্তায় নিয়ে আসতে হবে। রাজ্যের প্রত্যেকটি কৃষকের জন্যই এই বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি এই বিষয়ে আরো জানিয়েছেন যে, দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ হল এমন একটি রাজ্য যেখানকার সরকারই কৃষকদের জন্য বীমার প্রিমিয়াম দিচ্ছে। প্রায়শই দেখা যায় যে, ঝড়-বৃষ্টি বন্যা কিটের কারণে ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়ে যায়। ফসলের ক্ষতি হলে সর্বস্বান্ত হয়ে যায় কৃষকেরা। তবে বীমা (Shasya Bima) থাকলে কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণও পান। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই বীমা করিয়ে থাকে।