আগামী রবিবারের সূর্যগ্রহণের রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য, সাক্ষী থাকবে বিশ্ব

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ২১শে জুন অর্থাৎ রবিবার মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে বিশ্ব, রয়েছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণ এবছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হলেও মাত্র ৬ মাস আগে অর্থাৎ গত বছর ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখ এমনই মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী ছিল পৃথিবী। তবে এবারের সূর্যগ্রহণ বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত। তাৎপর্যমণ্ডিত এই কারণেই জানা গিয়েছে, গত ১০০ বছরে এমন দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। অর্থাৎ ১০০ বছর পর এমন দীর্ঘস্থায়ী সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে আগামীকাল। রবিবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হবে সূর্যগ্রহণ আর তা চলবে ৩টে ৪ মিনিট পর্যন্ত। বেশ কিছু জায়গায় ১০:১৭ মিনিটে পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ দেখা যাবে। ১২:১০ মিনিটে গ্রহণ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাবে।

সূর্যগ্রহণ কি ও কয় প্রকার

পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে আর পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চাঁদ। আর এইভাবে প্রদক্ষিণ করতে করতে যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ এক সরলরেখায় চলে আসে তখন গ্রহণ হয়। সূর্য গ্রহণ সে সময় হয় যখন পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য এক সরলরেখায় আসে। সেসময় সূর্যের আলো চাঁদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে পৃথিবীর বুকে নেমে আসে অন্ধকার। ক্ষণস্থায়ী এই পরিস্থিতিকে বলা হয় সূর্যগ্রহণ। সূর্যগ্রহণ তিন ধরনের, আংশিক সূর্যগ্রহণ, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ও বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।

২১ শে জুনের সূর্যগ্রহণ তাৎপর্য কেন?

২১শে জুন অর্থাৎ আগামীকাল যে সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে তা হলো বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। এই ধরনের সূর্য গ্রহণে সূর্যের বহিঃসীমা অঞ্চল ছাড়া বাকি অংশ চাঁদের দ্বারা ঢেকে যায়। অর্থাৎ এই গ্রহণ চলাকালীন কেবলমাত্র সূর্যের বহিঃসীমাকে দেখা যাবে। বাকি মাঝের অংশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে। এই ধরনের সূর্যগ্রহণের সময় দেখে মনে হয় অনেকটা আংটির মত। আবার একে আগুনের বলয়ও বলা হয়।

তবে আগামী কালকের গ্রহণ এই কারণেই তাৎপর্যমণ্ডিত, প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে এই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ চলবে বলে জানা গিয়েছে। এও জানা গিয়েছে এমন দীর্ঘস্থায়ী বলয়গ্রহণ বিগত ১০০ বছরে হয়নি। অন্যান্য গ্রহণের ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সূর্যকে ফের দেখা যায়।

আগামী রবিবারের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বিশ্বের বেশিরভাগ অংশ থেকেই। স্পষ্টভাবে দেখা যাবে এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপ, উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশ থেকে। আর এই তাৎপর্যমণ্ডিত মহাজাগতিক দৃশ্যের জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।