নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতবর্ষ জুড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা ৭০ হাজার পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও আশার আলো দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। দুদিন আগে পর্যন্ত এই হার ছিল ২৯.৯ শতাংশের কাছাকাছি, কিন্তু দিন দিন সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথেই বাড়ছে রোগমুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাও। ভারতে বর্তমানে প্রায় ২২৪৫৫ জন। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) এই হিসেবে কিছুটা হলেও ভরসা পাচ্ছেন দেশবাসী।
মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানান যে সমগ্র দেশে ২২৪৫৫ জন করোনা সংক্রামিত ব্যক্তি বর্তমানে করোনা মুক্ত। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেব বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় একদিকে ৩৬০৪ জন ব্যক্তি সংক্রামিত হয়েছেন এবং অন্যদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫৩৮ জন ব্যক্তি।
রবিবার পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ছিল ৩০.৭ শতাংশ কিন্তু সোমবার প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৩১.১ শতাংশ। আর মঙ্গলবার তা পৌঁছে গেছে ৩১.৭৪ শতাংশে। সুস্থতার হার বৃদ্ধির সাথে সাথেই সক্রিয় রোগীদের সংখ্যার হার হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৬৫.০২ শতাংশ। (যা রবিবার পর্যন্ত ছিল ৬৫.৮ শতাংশ।)
বর্তমানে এই সকল পরিসংখ্যান বেশ আশাবাদী হলেও এর মধ্যেও আশঙ্কার মেঘ দেখছেন চিকিৎসকরা। এর কারণ মূলত দুটি। প্রথমত, বিদেশ থেকে অনেক মানুষ বর্তমানে দেশে ফিরছেন।অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাচ্ছেন। এই ব্যক্তিদের অনেকেরই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। ফলে বর্তমানে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেলেও এরকম পরিস্থিতিতে সেই হার আবার কমে যেতে পারে, এরকমই আশঙ্কা করছেন অনেকে।
দেশের কিছু রাজ্যের সুস্থতার হারের পরিসংখ্যান
মহারাষ্ট্রে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা ২৩৪০১, অন্যদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৭৮৬ জন। গুজরাটে ২৭৮০ জন বর্তমানে সুস্থ, এখানে সংক্রমণ ছাড়িয়েছে আট হাজার (৮৫৪১)। তামিলনাড়ুতে সংক্রামিত ৮০০২ জন, সুস্থ ২০৫১ জন। দিল্লিতে ৭২৩৩ জন সংক্রামিত হলেও ২১২৯ জন মানুষ সুস্থ। পশ্চিমবঙ্গে সংক্রামিত ২০৬৩ জন, আর সুস্থ ৪৯৯ জন।
কেরলে ৯৪.২১ শতাংশ মানুষই সুস্থ। তেলেঙ্গানায় সুস্থ ৬২.৭৪ শতাংশ মানুষ। রাজস্থানে সুস্থ ৫৬.৭৭ শতাংশ মানুষ। বিহারে সুস্থতার হার ৫০.৪৭ শতাংশ। তবে পশ্চিমবঙ্গে সুস্থতার হার ২৪.১৯ শতাংশ, যদিও তা দুদিন আগে অনেক কম ছিল।