হিমাদ্রি মন্ডল : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারি হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর এই শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হয়ে ভিনরাজ্যে আটকে পড়ায় ঘরমুখী হয়ে পড়ছেন। কখনো হেঁটে, কখনো বা অন্য কোনো উপায়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রবিবার।
কলকাতার ডানকুনি থেকে একটি মিনি ট্রাক ভর্তি কুড়ি থেকে পঁচিশ জন শ্রমিক পাড়ি দিচ্ছিলেন ঝাড়খান্ড ও বিহারের বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার নাকা চেকিং এড়িয়ে বীরভূমের ভেতর প্রবেশ করে ওই মিনি ট্রাকটি। এরপর সিউড়ি থানা এলাকা পেরোনোর সময় সিউড়ি থানার অন্তর্গত তারাপুর গ্রামের কাছে সিউড়ি থানার আইসি ধরে ফেলে ওই মিনি ট্রাকটিকে। দেখা যায় ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক ওই ট্রাকের মধ্যে বসে আছেন।
তবে যে ট্রাকটিতে করে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই ট্রাকের সামনের কাঁচে লাগানো ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্টিকার। যা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ট্রাকের মালিক কিভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্টিকারের অপব্যবহার করে শ্রমিকদের নিয়ে যাচ্ছিলেন! যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে ওই ট্রাকের চালক জানান, “আমার জানা নেই কেন এই স্টিকার লাগানো আছে। আমি এই গাড়ি চালাই না, অন্য গাড়ি চালাই। মালিক আজ নিয়ে যেতে বললেন তাই নিয়ে যাচ্ছি।”
শ্রমিকদের প্রশ্ন করে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই ১৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডের দুমকা অব্দি চুক্তি করেছেন। ভাড়ার বিষয়েও ওই গাড়ির চালক জানান, “আমি কিছুই জানতাম না, সমস্তটাই জানে মালিক। মালিক শুধুমাত্র বলেছিল ট্রাকটিকে নিয়ে দুমকা যেতে হবে। আমি সে মতোই আসছিলাম।”
সিউড়ি থানার পুলিশ গাড়িটিকে আটকালেও প্রশ্ন উঠছে পুলিশের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং এড়িয়ে কিভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এতদূর পর্যন্ত চলে এলো ওই ট্রাক!