নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতাকে বাদ দিয়েও রাজ্যজুড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ২৭টি সেতু। এই সেতুগুলিকে দ্রুত ভেঙে তৈরি করার পক্ষে মতামত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর বিশেষজ্ঞরা এমনও মতামত পোষণ করেছেন যে যদি ওই সেতুগুলিকে এখনই ভেঙ্গে নতুন করে তৈরি করা সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই তা মেরামতি করতে হবে। আর তা না হলে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থেকে যাচ্ছেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি সেতু এবং উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। আর সেই পরিকল্পনা মতো চারটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়। আর নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মিলিয়ে পূর্ত দপ্তরের অধীনে থাকা ৩৭২ টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে সম্প্রতি। যাদের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পেশ করেছে সমীক্ষক সংস্থাগুলি।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে রাজ্যজুড়ে এমন ২২৩টি সেতু রয়েছে যেগুলো ছোটখাটো মেরামতের প্রয়োজন। পাশাপাশি ২৭টি সেতু রয়েছে যা বিপজ্জনক। আর এই সেতুগুলির পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। যদিও সেগুলিকে ভেঙে পূর্ণনির্মাণ করার পক্ষে রায় দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে বিপজ্জনক এই ব্রীজগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি রয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গে। দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সেতুগুলির অবস্থা খারাপ সেগুলি বয়স অন্ততপক্ষে ৫০ থেকে ৭০ বছর অথবা তারও বেশি। এগুলির মধ্যে বেশ কিছু রয়েছে নদী ব্রিজ।
আর বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন রাজ্য কোভিড এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে পার হয়েছে সে সময় এমন সমীক্ষার ফলাফল উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্যের। কারণ এক একটি ব্রিজ নতুন করে গড়তে খরচ পড়বে কম করে ২০০ কোটি টাকা। বর্তমান আর্থিক সংকট পরিস্থিতিতে আপাতত ব্রিজগুলিতে যানবাহন চলাচলের ঝুঁকি কমাতে বিকল্প পথ খুঁজছে রাজ্য সরকার। কারণ এমনিতেই রাজ্যের রাজস্বে টান পড়েছে, অন্যদিকে আবার জিএসটির ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্রের সাথে রয়েছে টানাপোড়েন।