নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার দুপুর বেলা কালিঘাট থেকে রাজ্যের ২৯১টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। ২৯৪টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন তারা ছেড়ে দিয়েছে তাদের বন্ধু দলগুলিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দার্জিলিং, যেখানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তৃণমূলের শরিক দল হিসেবে প্রার্থী দেবে।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার আগে বারংবার উঠে এসেছিল এবারের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ যেতে পারেন একাধিক বিধায়ক এবং হেভিওয়েট নেতার নাম। আর তাদের জায়গায় আসতে পারেন অজস্র নতুন মুখ। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সাথে সাথেই যেন তার বাস্তবায়ন লক্ষ্য করা গেল। এবারের প্রার্থী তালিকায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠাঁই পেয়েছেন ৫০ জন মহিলা প্রার্থী, ৪২ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী, তপশিলি জাতি ও উপজাতির প্রার্থী ৯৬ জন। তবে তার সাথে সাথেই বাদ গেলেন ২৭ জন বিধায়ক।
বাদ যাওয়া বিধায়কদের তালিকা
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে ২৭ জন বিধায়কের নাম বাদ দেওয়ার পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছেন পাঁচজন মন্ত্রী। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাদের নাম ও কেন্দ্র।
অমিত মিত্র : খড়দা, পূর্ণেন্দু বসু : রাজারহাট-গোপালপুর, বাচ্চু হাঁসদা : তপন, রত্না ঘোষ কর : চাকদা, রেজ্জাক মোল্লা : ভাঙড়, জটু লাহিড়ী : শিবপুর, ব্রজমোহন মুখার্জি, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য : সিঙ্গুর, রবিরঞ্জন চ্যাটার্জি : বর্ধমান দক্ষিণ, স্মিতা বক্সী : জোঁড়াসাকো, মালা সাহা : কাশীপুর-বেলগাছিয়া, সাতগাছিয়ার সোনালি গুহ, তালডাংরার সমীর চক্রবর্তী, বেলেঘাটার পরেশ পাল, সোনারপুর দক্ষিণের জীবন মুখার্জি, গৌরীশঙ্কর দত্ত, মেমারির নার্গিস বেগম, রায়দিঘির দেবশ্রী রায়, জেমস কুজুর : কুমারগ্রাম, বসিরহাট দক্ষিণের দীপেন্দু বিশ্বাস।
[aaroporuntag]
আমডাঙার রফিকুল ইসলাম, শীতলকুচির হিতেন বর্মন, গরবেতার আশীষ চক্রবর্ত্তী, নারায়ণগড়ের প্রদ্যুৎ ঘোষ, নলহাটির মইনুদ্দিন শামস, অসিত মাঝি, ইটাহারের অমল আচার্য।