সাতসকালে বীরভূমে উদ্ধার তিন তিনটি মৃতদেহ

অমরনাথ দত্ত ও হিমাদ্রি মণ্ডল : বীরভূমের দুই ভিন্ন জায়গায় সাতসকালে উদ্ধার হল তিন তিনটি মৃতদেহ। একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয় মহঃবাজার থানা এলাকার সেহেড়াকুড়ি মোড়ের কাছে এবং অন্য দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয় পাঁড়ুই থানা এলাকার ইমাদপুর গ্রামে। এই দুই জায়গায় মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

বুধবার সাতসকালে মহঃবাজার থানা এলাকার মালাডাং এলাকার মোলবাগান গ্রামের সমর হাঁসদা নামে বছর ৩৫ এর এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় মহঃবাজার থানার অন্তর্গত সেহেড়াকুড়ি মোড়ের কাছে। মৃত ওই আদিবাসী যুবক গাড়ির খালাসীর কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। তার দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ওই যুবকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের অভিযোগ ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে। পাশাপাশি তারা পুলিশের কাছে দাবি রাখেন এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

পরিবারের অভিযোগ, “গতকাল রাতে আমাদের ছেলেকে ফোন করে ডাকে। এরপর রাত্রি দশটা এগারোটা নাগাদ সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সকালবেলায় বলে এরকম ঘটনা ঘটেছে। আমরা গিয়ে দেখি মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের অনুমান ওকে খুন করা হয়েছে।”

অন্যদিকে পাঁড়ুই থানা এলাকায় যে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তারাও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। মৃতরা হলেন রুপ্তন সরেন এবং মিলন হেমরম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এরা দুজনে সম্পর্কে শালক ও জামাইবাবু। এদিন এদের মৃতদেহ স্থানীয়রা দেখতে পান ইমাদপুর গ্রামের মাঠের ধারে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, এরা দুজন বগা পুজো দেখে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় পিছন দিক থেকে কোনো একটি গাড়ি তাদের এসে ধাক্কা মারে। তারপর তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয় মাঠের ধারে নিকাশি নালা থেকে।

এই দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহঃবাজার থানার পুলিশ এবং পাঁড়ুই থানার পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তিনটি মৃতদেহই আনা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য।