নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট এসেছে। আর ভোট আসা মানেই বড় বড় নেতা-নেত্রীদের এদিক-ওদিক পাঁচিল টপকানোর কাজ হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই নেতা নেত্রীদের পিছন পিছন কর্মীরাও যাবেন সেটাও স্বাভাবিক। তবে এবার অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে কেষ্টগড়ে যা ঘটলো তাতে রীতিমত চিন্তা বাড়ল রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূলের। চিন্তা বাড়লো তৃণমূলের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের।
মনে পড়ে, দিন কয়েক আগে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায় মহম্মদ বাজার ব্লকের অন্তর্গত রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাটেরবাঁধ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। তিনি যখন প্রচারে যান তখন তাকে ওই এলাকার বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা বিজেপির পতাকা দেখিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাদের এমন ক্ষোভের কারণ হলো স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাকেশ মন্ডল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সবেতেই কাটমানি নেন আর যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিছুই পূরণ করেননি।
সোমবার ওই এলাকারই ৩০০ সংখ্যালঘু পরিবারকে তৃণমূলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিজেপির জেলা দলীয় কার্যালয়ে এসে বিজেপির পতাকা ধরতে দেখা গেল। শুধু বিজেপির পতাকা ধরা নয়, এর পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বলা হয়, ‘তৃণমূলের পুরোটাই ঢপ। তৃণমূল এবং তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায় যা যা দেবো বলেছিলেন কিছুই দেয়নি। এদের সব ঢপের কাজ’।
লোকসভা ভোটের আগে অনুব্রত গড়ে এইভাবে ৩০০ সংখ্যালঘু পরিবারের বিজেপির দিকে ঝুলে যাওয়া রীতিমত শাসক দল তৃণমূলকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও যে এলাকা থেকে তারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সেই এলাকায় বিজেপির যথেষ্ট প্রতিপত্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে এই দল বদল কতটা প্রভাব পড়ে তাই এখন দেখার বিষয়।
যদিও এই ধরনের ঘটনাকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায় খুব একটা পাত্তা দিতে রাজি নন। কেননা যখন শতাব্দী রায় ওই এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন এবং তাকে বিজেপির পতাকা দেখিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল তখনই তিনি এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন, “একজন দুজন বড় মানুষ আর বাকি সব ছোটদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। যাদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে তারা তৃণমূল-বিজেপির বানানটুকুও ঠিকঠাক বলতে পারবে না।” এছাড়াও যার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সেই রাকেশ মন্ডলও আগেই কাটমানি নেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।