নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে যেভাবে রাজ্যের তাপমাত্রা বেড়ে ছিল তাতে তা নাভিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাসিন্দাদের জন্য। তবে এই নাভিশ্বাস অবস্থায় কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আর এই ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পরে পুনরায় আদ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হতে শুরু করে। এরই মাঝে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, রবিবার দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের ১৪ জেলায়।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে রবিবার রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় এই পরিস্থিতি তৈরি হবে। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রবিবার বৃষ্টির কোনরকম পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সোমবার থেকে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের যেসকল জেলাগুলিতে রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম। উত্তরবঙ্গে সোমবার থেকে যে সকল জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সেগুলি হল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর।
[aaroporuntag]
তবে শুধু রবিবার নয়, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এমন ঝড়-বৃষ্টির পরিস্থিতি চলতে পারে আগামী ২ জুন পর্যন্ত। আলিপুর হাওয়া অফিসের পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ঝড় বৃষ্টির কারণে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বা হচ্ছেন মাটির বাড়ি রয়েছে এমন বাসিন্দারা। পাশাপাশি মাঠের পাকা ফসল তোলা না হলেও তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।