একদিনে সর্বাধিক আক্রান্ত বাংলায়, জেলায় জেলায় বাড়ছে সংক্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : এযাবৎ পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০৮। যা ছিল গত রবিবার। আর এবার পাঁচ দিনের মাথায় সে রেকর্ডকে ভেঙে ফেলল বাংলা। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে করোনা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বাংলাতে। একদিনেই রাজ্যে সংক্রমণ বাড়লো ৩৪৪। যা আগের দিনের রেকর্ডের তুলনায় ১০৮ জন বেশি। পাশাপাশি এদিন এত সংখ্যক আক্রান্ত রোগী বাড়ায় রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫৩৬।

রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় এই বিপুল পরিমাণ করোনা পজেটিভের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৬। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৫ (৭২+২২৩)। পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় ৯০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬৬৮ জন।

রাজ্যে এতদিন যে পরিমাণ করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল তাদের বেশিরভাগ ছিলেন কলকাতা এলাকার। তবে এবার পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে অন্যান্য জেলাগুলিতেও। কলকাতায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা পজেটিভের সংখ্যা বেড়েছে ৮৭। আর অন্যান্য জেলার দিকে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে দার্জিলিঙে বেড়েছে ১, জলপাইগুড়িতে ১, উত্তর দিনাজপুরে ৪৬, মালদাতে ৯, মুর্শিদাবাদের ৭, নদীয়াতে ১৫, বীরভূমের ২৭, বাঁকুড়াতে ৪, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮, পূর্ব বর্ধমানে ১৬, পশ্চিম বর্ধমানে ১, হাওড়াতে ৫৫, হুগলিতে ৩, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৯, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০, আদার স্টেট ২, আর আরও দুজন অজানা জেলা।

বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে জেলাভিত্তিক মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো কলকাতা ১৯০০, দার্জিলিঙে ১৫, কালিম্পংয়ে ৭, জলপাইগুড়িতে ৮, উত্তর দিনাজপুরের ৯৩, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬, মালদাতে ১২৫, মুর্শিদাবাদের ৭৬, নদীয়াতে ৫১, বীরভূমে ৬০, পুরুলিয়াতে ১, বাঁকুড়াতে ১৯, ঝাড়গ্রামে ৬, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩০, পূর্ব মেদিনীপুরে ৭৭, পূর্ব বর্ধমানে ৫৭, পশ্চিম বর্ধমানের ৪২, হাওড়াতে ৯১১, হুগলিতে ২৪৪, উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৯১, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১৬৭, আদার স্টেট ৪৮, অজানা জেলা ২।

রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরলেই করোনা সংক্রমনের সংখ্যা বাড়বে এমনটা আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। আর সেই আশঙ্কায় এবার সত্যিতে পরিণত হল।বর্তমানে যে সকল রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তাদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে। তবে এইভাবে হুহু করে সংক্রমণের মাত্রা বাড়া প্রশাসনিকভাবে যেমন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিক তেমনই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে।