করোনার মাঝেই অজানা রোগের থাবা বীরভূমে, ১০ দিনে মৃত ৪

Madhab Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাতঙ্কের মাঝেই অজানা এক রোগের খাবা বসেছে বীরভূমে। আর এই রোগে মৃতের হার দুশ্চিন্তায় ফেলেছে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের। ইতিমধ্যেই যে এলাকায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তরফ থেকে। তবে মেডিকেল ক্যাম্প চলাকালীনই সোমবার আরও এক নাবালিকার মৃত্যু খবর এসে পৌঁছায় গ্রামে। আর এই নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে গত ১০ দিনে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। মৃতদের প্রত্যেকেই অল্প বয়সী। এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত ১০ জন।

ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটের ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মাড়গ্রামের ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এঁটেলপাড়ায়। সোমবার সকাল থেকেই গ্রামে বসিয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। যেহেতু এই রোগ এলাকার ছোটদের বেছে বেছে আক্রান্ত করছে তাই এলাকার অভিভাবকরা আতঙ্কের মধ্যে তাদের বাচ্চাদের আত্মীয়দের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। গত দিন দশক ধরে এই রোগের দেখা মিলেছে ওই এলাকায়। আর এই দিন দশেকের মধ্যেই মৃত্যু হলো চার জন অল্পবয়সীর। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শিশুরা ছাড়া বর্তমানে আর কাউকে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়নি।

রোগের উপসর্গ সম্পর্কে স্থানীয়দের বক্তব্য, আগাম কিছু টের পাওয়া যাচ্ছে না এই রোগের ক্ষেত্রে। হঠাৎ করে ছোটদের পেটে ব্যথা শুরু হচ্ছে আর তারপর মাত্র ৫ থেকে ৬ বার বমি হওয়ার পরেই শিশুটি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। আক্রান্তদের বাকি ৬ জন বর্তমানে বাড়িতেই রয়েছে এবং আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ।

এর আগে এই রোগে মৃতরা হলো আসাদুল শেখ, যার বয়স ১৪ বছর। নাঈম শেখ, যার বয়স ৬ বছর এবং সাহিল শেখ, যার বয়স ৪ বছর। এরপর সোমবার সকালে পেটে ব্যথা নিয়ে মুসকান খাতুন নামে ওই নাবালিকাকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর ঘন্টা চারেক পর সে মারা যায়। এদের প্রত্যেক জনের ক্ষেত্রেই একই উপসর্গ দেখা গিয়েছিল।

স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানান, “কী কারণে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে তা সম্পর্কে এখনো আমরা সঠিকভাবে কিছু জানতে পারিনি। তবে আমরা সমস্ত রকম সর্তকতা অবলম্বন করছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের পুকুরের জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যান্য যেসকল জলের উৎস রয়েছে সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।”