নিজস্ব প্রতিবেদন : সীমান্ত এলাকায় দিনের পর দিন ভারতের সাথে চিনের সম্পর্ক তলানির দিকে যাচ্ছে। চিনের আগ্রাসী মনোভাব এই সম্পর্ককে নষ্ট করছে। বারবার চিনের তরফ থেকে শর্ত লংঘন করা হচ্ছে। গত ১৫ ই জুন এর ঘটনার পর আবার আগস্ট মাসের ২৯ এবং ৩০ তারিখ চীন সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে। যদিও এবারও ভারতীয় সেনাদের তরফ থেকে মোক্ষম জবাব সেই আগ্রাসী মনোভাবকে রুখে দেয়।
তবে বারংবার এই ঘটনার কারণে আন্তর্জাতিক মহলে একটি প্রশ্ন উঠছে। যা হলো চীনের সাথে ভারতের এই বিরোধিতায় ভারতের পাশে কোন কোন দেশ রয়েছে? আর এই প্রশ্নের খোলসা করেছেন মার্কিন সেক্ট্রেটরি অব স্টেট মাইক পম্পেও। তিনি একটি আন্তর্জাতিক নিউজ টেলিভিশন সাক্ষাৎ দেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, চীনের সাথে বিরোধিতায় ভারতের পাশে রয়েছে চার-চারটি দেশ। আর এই চার-চারটি দেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বেশ প্রভাবশালী দেশ।
মার্কিন সেক্ট্রেটরি অব স্টেট মাইক পম্পেও মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চীনের কর্মকাণ্ড মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। যে কারণে ভারতের সাথে একত্রিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা। এই দেশগুলি সকলেই ভারতের পাশে থেকে চীনের বিরোধিতা করবে।
এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “আমি মনে করি যে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কখনোই তাদের সততা, সাম্যতা ও স্বচ্ছতার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত নয়। আর যে কারণে তাদের কর্মকান্ডের উপর অন্যান্য দেশগুলি বিশ্বাস হারাচ্ছে। বর্তমানে চীনের বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ একত্রিত হতে শুরু করেছে। চীনের সেনাবাহিনীর যেভাবে আগ্রাসন নীতি নিয়ে চলছে তাতে তাদের সীমান্ত মনোভাব স্পষ্ট হচ্ছে।”
এছাড়াও মার্কিন সেক্ট্রেটরি অব স্টেট মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, NATO-র মতো একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে। যার সদস্য পদ পাবে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
এর পাশাপাশি নিউজ এজেন্সি পিটিআই জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের যুদ্ধ জাহাজ পাঠানো নিয়ে ভারতের প্রশ্নের জবাবে পম্পেও বলেছেন, “ভারত অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের বন্ধু। চীন তাদের উপর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে হানা দিচ্ছে। তবে এই সব দেশের উপর যতই বিপদ বারবে ততই আমেরিকা তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। তবে আশা ভারত-চীন সীমান্ত বিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হবে।”